জামাইকা: জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় স্তব্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। জো সলোমন মারা গিয়েছেন বয়সজনিত কারণে। ৯৩ বছর বয়স হয়েছিল প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের। অতীতের এক তারকার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন অনেকে। তবে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট মহল অন্য এক মৃত্যুর খবরে। গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ক্লাইড বাটস। মাত্র ৬৬ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। ডিমেরারার এক্লিসের কাছে দুর্ঘনার কবলে পড়ে ক্লাইডের গাড়ি। সলোমন যেমন গত শতাব্দীর ছয়ের দশকের ক্রিকেটার ছিলেন, তেমনই ক্লাইড ছিলেন আটের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের অফস্পিনার। অল্প সময়ের জন্য হলেও দু’জনেই ক্যারিবিয়ান টিমে ছাপ রাখতে পেরেছিলেন নিজেদের।
সলোমন ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন ২৭টা টেস্ট। ৩৪ গড়ে ১৩২৬ রান করেছেমন। একটু দেরিতে ক্রিকেটে এসেছিলেন সলোমন। কিন্তু নিজের জাত চেনাতে সময় নেননি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুত সাফল্য পান। যা নজর কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচকদের। দ্রুত জাতীয় টিমেও জায়গা পেয়ে যান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টাই টেস্টের জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন সলোমন। দুই ইনিংসে ৬৫ ও ৪৭ করার পাশাপাশি দুরন্ত একটা রান আউট করে টাই করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ। শেষ ওভারে (তখন ৮ বলে ওভার হত) ৬ রান দরকার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হাতে ৩ উইকেট। জেতার মতো জায়গাতে থাকলেও গাব্বায় যে ইতিহাস তৈরি হবে, কেউই ভাবেনি। কিন্তু রিচি বেনো ও ওয়ালি গ্রাউট রান আউট হয়ে যান। একটা রান নেওয়ার জন্য ক্রিজ ছেড়ে বেরোতেই ইয়ান ম্যাকিফকে রান আউট করে দেন সলোমন।
আটের দশকে আবার ক্লাইডের অফস্পিনার হিসেবে উত্থান। সেই সময় পেস বোলিংয়ের সোনালি যুগ চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু অফস্পিনার হিসেবে এতটাই প্রভাব ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে যে, তাঁকে খেলাতে বাধ্য হয় জাতীয় টিম। তিনিও নিরাশ করেননি। মাত্র ৭টা টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। নিয়েছিলেন ১০টা উইকেট। বোলার হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদি ছাপ রাখতে না পারলেও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে প্রভাব ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। ক্রিকেটার থেকে ভক্তরা, সবাই খুব ভালো করে চিনতেন ক্লাইড। মিশুকে ছিলেন, আড্ডা দিতে পারতেন সবার সঙ্গে। ২০০০ সালে জাতীয় নির্বাচক ছিলেন। পরের দিকে কমেন্ট্রিও করেছেন।