Pakistan Cricket: ট্যাক্সি চালক থেকে বাইশগজে, অভিষেকে নজর কাড়লেন পাক ক্রিকেটার

Aamer Jamal: একটা সময় সংসার চালানোর জন্য বল ছেলে গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে তুলেছিলেন। কিন্তু মনের মধ্যে ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে এবং বাস্তবে ক্রিকেট খেলার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি পাকিস্তানের আমির জামাল। ডনের দেশে ইতিহাস বদলাতে পারল না পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথ টেস্টে ৩৬০ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে শান মাসুদের দল। কিন্তু পাক দলের অভিষেক টেস্টে (Test Cricket) নজর কেড়েছেন আমির জামাল।

Pakistan Cricket: ট্যাক্সি চালক থেকে বাইশগজে, অভিষেকে নজর কাড়লেন পাক ক্রিকেটার
ট্যাক্সি চালক থেকে বাইশগজে, অভিষেকে নজর কাড়লেন পাক ক্রিকেটারImage Credit source: X

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Dec 18, 2023 | 12:01 AM

পারথ: সবুরে মেওয়া ফলে… কথাটা অনেকের জীবনের সঙ্গেই মেলে। যেমন মিলেছে পাকিস্তানের (Pakistan) আমির জামালের (Aamer Jamal) সঙ্গে। ২৭ বছর বয়সে দেশের হয়ে টেস্ট জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে আমির জামালের। একটা সময় সংসার চালানোর জন্য বল ছেলে গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে তুলেছিলেন। কিন্তু মনের মধ্যে ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে এবং বাস্তবে ক্রিকেট খেলার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি পাকিস্তানের আমির জামাল। ডনের দেশে ইতিহাস বদলাতে পারল না পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথ টেস্টে ৩৬০ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে শান মাসুদের দল। কিন্তু পাক দলের অভিষেক টেস্টে (Test Cricket) নজর কেড়েছেন আমির জামাল। তারপরই জানিয়েছেন নিজের সংগ্রামের গল্প।

অজিদের বিরুদ্ধে আমির জামাল টেস্ট ডেবিউতে নেন ৬টি উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩৯ রান দিয়ে ৭টি উইকেট নেন আমির জামাল। পাকিস্তানের হয়ে সাদা জার্সিতে অভিষেকের পর তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে দিতে বলেছিল। সকলে বলত আমি যে ক্রিকেট খেলি তাতে কোনও আশা নেই। আর আমি বরাবর বলতাম, আশা সব সময় থাকে। তার জন্য শুধু এগিয়ে যেতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বাকিদের থেকে বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’

বাড়ির বড়ো হওয়ার কারণে একটা সময় পরিবারের পুরো দায়িত্ব ছিল আমির জামালের কাঁধে। সেই সময় বাধ্য হয়ে ক্রিকেটের জায়গায় ট্যাক্সি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন পাকিস্তানের আমির জামাল। তাঁর কথায়, ‘সংগ্রামই আমাকে জীবনে সময়ানুবর্তী হতে সাহায্য করেছে। সমস্ত জিনিসকে আরও মূল্য দিতে শিখিয়েছে।’

২০১৪-১৫ মরসুমে আমির জামাল পাকিস্তানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছিলেন। কিন্তু তারপর আর সেই অর্থে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে আমির অস্ট্রেলিয়াতেও গিয়েছিলেন। এবং সেখানকার ঘরোয়া ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন। এরপর দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলার আশাও দেখেছিলেন আমির। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। অস্ট্রেলিয়া থেকে পাকিস্তানে ফেরেন। কিন্তু অনূর্ধ্ব-২৩ দলে আর সুযোগ পাননি। এরপর পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে ব্যাঙ্ক থেকে লিজ়ে একটি ট্যাক্সি নেন। এবং সেটি চালানো শুরু করেন। সময় মতো ট্যাক্সি চালানোর ফাঁকে আমির ক্রিকেট অনুশীলনও করতেন। তিনি জানান, ভোর ৫টা থেকে অনলাইনে রাইড বুকিং নিতেন তিনি। এরপর ১০টা সাড়ে দশটা অবধি গাড়ি চালাতেন। তারপর ১১টা থেকে ১টা অবধি বোলিং অনুশীলন করতেন। তারপর আবার ২টো থেকে ৭টা অবধি বাকি রাইড পূর্ণ করতেন। এই সব ম্যানেজ করে চলত ফিল্ডিং ও অল্প ব্যাটিং প্র্যাক্টিসও। দুপুরে একবার খেতেন। আর রাতের খাবার কোনও সময় বাড়িতে তো কখনও আবার বাইরে যা জুটত, তা দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতেন। পরিশ্রমই সাফল্যের মন্ত্র মেনেছিলেন আমির। আশা ছিল, একদিন পরিশ্রমের মূল্য পাবেন। তা পেয়েছেন তিনি।