দীপঙ্কর ঘোষাল : থ্রিলার…থ্রিলার এবং থ্রিলার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুমে থ্রিলারের অন্ত নেই। দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচও। অথচ একটা সময় অবধি মনে হয়েছিল, এক পেশে ম্যাচ দেখতে চলেছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের গ্যালারি এবং টিভি-মোবাইলের পর্দায় লক্ষ লক্ষ দর্শক। কলকাতা নাইট রাইডার্স শুরু থেকেই বেকায়দায়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর। শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট পড়াই কাল হয়ে দাঁড়ায়। পিচ অনেকটাই মন্থর। তবে ২০ ওভারে মাত্র ১২৭ রান! এই রান নিয়ে জিততে গেলে মিরাকল প্রয়োজন। তার ওপর দিল্লির শুরুটা যেমন হয়, বিশেষ করে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং। দিল্লির জয় যেন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এই ম্যাচও থ্রিলারে শেষ হবে, কেই বা ভেবেছিল। কেকেআর স্পিনারদের দাপট। শেষ দিকে লিটন দাস জোড়া স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস না করলে, রাসেল একটা বাউন্ডারি না ফসকালে কিংবা মিড উইকেটে কেজরোলিয়া ক্যাচটা নিতে পারলে! এই রানের পুঁজি নিয়েও জিততে পারতো কলকাতা। শেষ অবধি ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টানা পাঁচটি হারের পর অবশেষে মরসুমের প্রথম জয়। পারফরম্যান্স যেমনই হোক কিংবা যতই কষ্টার্জিত জয় হোক, স্বস্তির নিঃশ্বাস দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে। প্রচণ্ড দাবদাহে বৃষ্টি এলে যেমন হয়। টানা হারে প্রশ্ন উঠলি কোচ রিকি পন্টিং এবং ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও। বিশ্ব ক্রিকেটের দুই সেরা ব্যাটার এবং অধিনায়ক। অথচ তাঁদের দল একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলছিল। প্রথম জয়ের পর ব্রডকাস্টারের সঙ্গে কথা বলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘আমার মনে হচ্ছিল, ঠিক যেন আমার অভিষেক টেস্ট।’
দাদা আরও যোগ করলেন, ‘অবশেষে জয়ের স্বাদ পেয়ে ভালো লাগছে। এ মরসুমে আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। অনেক জায়গাতেই ব্যাটিং সহায়ক পিচ এবং ফাস্ট আউটফিল্ড ছিল। আমাদের মূল সমস্যা ব্যাটিং। এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের আরও ভাবতে হবে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে। বোলিংয়ের দিক থেকে আমরা খুবই ভালো পারফর্ম করছি।’