
মুম্বই : আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ। এ বারও ইউপি ওয়ারিয়র্স। তবে গুজরাট জায়ান্টস ম্য়াচের পুনরাবৃত্তি হল না। জায়ান্টসের বিরুদ্ধে শেষ ২৪ বলে ৬৪ রান প্রয়োজন ছিল ইউপি ওয়ারিয়র্সের। গ্রেস হ্যারিস-সোফি এক্লেস্টন জুটি সেই রান তুলে দেয় ১ বল বাকি থাকতেই। এ দিন দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ ওভারে ওয়ারিয়র্সের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৩ রান। শেষ অবধি ৫ উইকেটে ১৬৯ রানে পৌঁছায় ইউপি ওয়ারিয়র্স। ৪২ রানে জয় মেগ ল্য়ানিংদের। দিল্লির হয়ে ব্য়াটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স জেস জোনাসনের। অনবদ্য একটি ক্য়াচ নেন রাধা যাদব। ইউপি ওয়ারিয়র্সের শুরুটা ভালো হলেও মাত্র ২ রানের ব্য়বধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। সামনে ২১২ রানের বিশাল লক্ষ্য। রানের গতির পাশাপাশি উইকেট ধরে রাখাও জরুরি ছিল। তাহিলা ম্য়াকগ্রা-দেবিকা বৈদ্য জুটি ৪০ বলে ৪৯ রান যোগ করে। তাহিলা ম্য়াকগ্রা ৫০ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন। সেই ইনিংসও যথেষ্ট ছিল না। দিল্লি ক্য়াপিটালস বনাম ইউপি ওয়ারিয়র্স ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
প্রথম ম্য়াচে ২২৩, এ দিন ২১১। নিজেদের দু-ম্য়াচেই ২০০-র গণ্ডি পেরোল দিল্লি ক্যাপিটালস। ইউপি ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত ম্য়াচে রান তাড়া করে জিতেছিলেন। হয়তো সেই ভাবনা থেকেই। তবে কম্বিনেশন সাজাতে গিয়ে সমস্য়ায় পড়েন অ্যালিসা। গত ম্য়াচের নায়ক গ্রেস হ্য়ারিসকে বসাতে হয়। একাদশে সুযোগ দেওয়া হয় পেসার শাবনিম ইসমাইলকে। এই ম্যাচে ২০০-র বেশি রান তাড়া করতে হবে, এমনটা হয়তো প্রত্যাশা করেননি। দিল্লি ক্য়াপিটালস শুরুটা সতর্কতার সঙ্গেই করে। এরপরই গিয়ার বদল দিল্লির। শেফালি ভার্মা (১৭), মারিজানে কাপ (১৬) থিঁতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্য়র্থ। অধিনায়ক মেগ ল্য়ানিং অনবদ্য ছন্দ বজায় রাখলেন। মাত্র ৪২ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন মেগ। ১০টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি মারেন দিল্লি অধিনায়ক।
দিল্লি ইনিংসে স্পেশাল জুটি গড়েন জেমাইমা রডরিগজ। অ্যালিস ক্য়াপসির সঙ্গে ১৭ বলে ৩২ রানের জুটি এবং পঞ্চম উইকেট জেস জোনাসনের সঙ্গে মাত্র ৩৪ বলে ৬৭ রান যোগ করেন জেমাইমা। দুটি ক্ষেত্রেই অ্যাঙ্করের ভূমিকায় তিনি। জেমাইমা ২২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ক্য়াপসি ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন। চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স জেস জোনাসনের। মাত্র ২০ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইউপি ওয়ারিয়র্সের হয়ে সেরা বোলিং শাবনিমের। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। বাকি সকলেরই ইকোনমি রেট অনেক বেশি। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান তোলে দিল্লি ক্য়াপিটালস। ব্য়াটিংয়ের পর বোলিংয়েও অনবদ্য জেস জোনাসন। তিন উইকেট নেন জেস।