চেন্নাই : রবি-রাতেই কি মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) চিপকে শেষ ম্যাচ খেলবেন? প্রশ্ন আছে। উত্তর নেই। এই আশঙ্কা নিয়েই মাহিভক্তরা আজ সিএসকে বনাম কেকেআর (CSK vs KKR) ম্যাচ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। শেষবেলাতেও চিপকের চত্ত্বরে মাহির ম্যাচের টিকিটের হাহাকার হয়েছে। এটা ঠিক যে এ বারের আইপিএলে (IPL 2023) গ্রুপ পর্বে চেন্নাইয়ের এটাই শেষ হোম ম্যাচ। ধোনিভক্তরা ধরে নিয়েছেন ঘরের মাঠে এটাই হয়তো মাহির শেষ আইপিএল ম্যাচ। কে বলতে পারে হয়তো আগামী আইপিএলে আর ২২ গজে নাও দেখা যেতে পারে মাহি ম্যাজিক! সেই আশঙ্কা মনে নিয়েই রবি-রাতে চিপকের গ্যালারি ভরাতে এসেছেন ধোনির অনুরাগীরা। শুনলে অবাক হবেন, এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা রবিবারের চেন্নাইয়ের ম্যাচের টিকিট তো কেটেছেন। কিন্তু ম্যাচ দেখতে চিপকের গ্যালারিতে যাননি। কি অবাক হচ্ছেন? আসল ব্যাপার কী, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ধোনিদের ম্যাচের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ালেই মিলছে দু’বেলার খাবার! যার ফলে টিকিট কাটার লাইনে না দাঁড়ানোর কথা দু’বারও ভাবছেন না ফুটপাতবাসী-গৃহহীনরা। আসলে ইন্ডিয়ান্স এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিপকে সিএসকে বনাম কেকেআর ম্যাচের টিকিটের যে লম্বা লাইন হয়েছিল সেখানে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার জন্য ফুটপাতবাসী, গৃহহীন থেকে শুরু করে কলেজপড়ুয়াদের অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে টিকিট কাটতে বলা হয়েছিল। আর সেই লাইনে দাঁড়িয়ে ধোনির ম্যাচের টিকিট কেটে দেওয়ার জন্য তাঁদের দেওয়া হয়েছে ৮০০ টাকা। ফুটপাতবাসী, গৃহহীনরা যে টাকা থেকে দু’বেলার খাবার কেনার সুযোগ পেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এই মানুষগুলো চিপকে ধোনির ম্যাচের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার বিনিময়ে পাচ্ছেন ৮০০ টাকা। যাঁরা এই টিকিট কাটার জন্য ৮০০ টাকা দিচ্ছেন, তাঁদের এই টিকিট বিক্রি করে লাভ হচ্ছে প্রায় ২০০-৩০০%। আসলে এই পুরো বিষয়টাই টিকিটের কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এর ফলে মাঝখান থেকে দু’বেলা খাবারের জন্য হা-হুতাশ করা কিছু মানুষের মুখে খাবার উঠছে।
এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে দেওয়া এক তরুণ বলেন, ‘আমাদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার জন্য ৮০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা যাদের হাতে এই টিকিটগুলো তুলে দেব তারা প্রতিটি টিকিট কালোবাজারে প্রায় ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করবে। এটি চতুর্থ ম্যাচের জন্য আমি লাইনে দাঁড়ালাম। প্রতি ছয় ঘণ্টার জন্য আমি ৮০০ টাকা পাই।’ ভোর আড়াইটে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ৭টার পর কাউন্টার খুললে টিকিট কাটেন এই সকল মানুষগুলো। তারপর সেগুলো মার্কেটে চড়া দামে বিক্রি করেন এই কালোবাজারির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা দলগুলো।