
দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে নর্থ জোন। ‘প্রত্যাশিত’ ভাবেই কোয়ার্টার ফাইনাল অমীমাংসিত। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে শেষ চারে জায়গা করে নিল নর্থ জোন। চার দিনের খেলা। দিল্লির ব্যাটার আয়ুষ বাদোনির জোড়া সেঞ্চুরি। ক্যাপ্টেন অঙ্কিত অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন। তাতে অবশ্য সেমিফাইনালে উঠতে কোনও সমস্যা হয়নি। বরং একপেশে ম্যাচ। ইস্ট জোন কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে নর্থ জোন বনাম ইস্ট জোন ম্যাচে মূলত নজর ছিল মহম্মদ সামির দিকে। সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নেমেছিলেন সামি। সেমিফাইনাল, ফাইনালে উঠলে আরও একটু সুযোগ পেতেন ম্যাচ প্র্যাক্টিসের। তা আর হল না। কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় হয়ে গেল ইস্ট জোনের।
অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এই ম্যাচে ইস্ট জোনকে নেতৃত্ব দেন রিয়ান পরাগ। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তা কাজে লাগেনি। প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রান করে নর্থ জোন। ইস্ট জোন বোলারদের মধ্যে সামি মাত্র ১ উইকেট নেন। মনীষী নেন ৬ উইকেট। জবাবে ইস্ট জোন মাত্র ২৩০ রানেই অলআউট হয়। সর্বাধিক ৬৯ রান বিরাট সিংয়ের। জম্মু-কাশ্মীরের পেসার আকিব নবি একাই কার্যত ধস নামান। টানা চার বলে চার উইকেট সহ প্রথম ইনিংসে তিনি নেন ফাইফার।
দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বিধ্বংসী ব্যাটিং নর্থ জোনের। মাত্র ৪ উইকেটে ৬৫৮ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার। সব মিলিয়ে ৮৩৩ রানের লিড। ক্যাপ্টেন অঙ্কিত কুমার ১৯৮, যশ ধুল ১৩৩ এবং আয়ুষ বাদোনি ২০৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সেমিফাইনালে সাউথ জোনের বিরুদ্ধে খেলবে নর্থ জোন।