
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই ট্রফির স্বপ্ন সেন্ট্রাল জোনে! পরিস্থিতি এমনই। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দাপট। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সেন্ট্রাল জোনের হাতেই। দলীপ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর যেন সময়ের অপেক্ষা। এখান থেকে ট্রফি না জেতাটাই কঠিন। সৌজন্য়ে ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার এবং দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার যশ রাঠোরের সেঞ্চুরি। দলীপ ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেছিলেন রজত পাতিদার। সেমিফাইনালে আরও একটা সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। শেষ অবধি তা হয়নি। ফাইনালে অবশ্য সেঞ্চুরি মিস করেননি।
দলীপ ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি সাউথ জোন ও সেন্ট্রাল জোন। পরপর ম্যাচ খেলছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকটাই ওয়াকিবহাল সেন্ট্রাল জোন ক্য়াপ্টেন রজত পাতিদার। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও পেস নয়, বোর্ডের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের গ্রাউন্ডে দেখা মিলল স্পিনের দাপট। প্রতিপক্ষ সেন্ট্রাল জোনের কোনও ব্যাটার হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। দুই স্পিনার কুমার কার্তিকেয় এবং সারাংশ জৈনের দাপটে মাত্র ১৪৯ রানেই শেষ সাউথ জোনের ইনিংস।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে বেঁধে রাখায় সেন্ট্রাল জোনের কাছে সুযোগ ছিল প্রথম ইনিংসে বিশাল স্কোর করে যতটা বেশি সম্ভব লিড নেওয়ার। ছন্দে থাকা দানিশ মালেবর ফাইনালে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। আর এক ওপেনার ক্রিজে সময় কাটালেও বড় রান করতে পারেননি। তিনে নামা শুভম শর্মাও ব্যর্থ। ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার ১১৫ বলে ১০১ রানে ফেরেন। ইনিংসে এক ডজন বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারিও মারেন রজত। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন যশ রাঠোরও। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে নিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। সব মিলিয়ে ২৩৫ রানের লিড।
দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা যশ রাঠোর। ১৩৭ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গী বল হাতে অনবদ্য পারফর্ম করা সারাংশ জৈন। ৪৭ রানে ব্যাটিংয়ে রয়েছেন। সাউথ জোনের বোলারদের মধ্যে গুরজপনীত সিং তিন উইকেট নিয়েছেন।