কলকাতা: টানা চার ম্যাচে হার। পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল। এ বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটে ম্যাচে জিতেছে লাল-হলুদ। বাকি এগারোটায় হার। আইএসএলে নতুন করে আর কিছু পাওয়ার নেই লাল-হলুদ সমর্থকদের। ঘরের মাঠে ম্যাচ। তবু মাঠে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়েছেন সমর্থকরা। প্রিয় দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখতে অভ্যস্থ লাল-হলুদ জনতা। কেরল ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ইস্টবেঙ্গল। লিগের বাকি পাঁচ ম্যাচে সম্মান জনক ফলের আশায় কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। মরসুম শুরুর আগে সমর্থকদের প্রথম ছয়ের আশা দেখিয়েছিলেন ব্রিটিশ। মরসুম শেষের দোড়গোড়ায় পরের বছরের আশ্বাস কনস্ট্যান্টাইনের গলায়। লিগ টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। দুই ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইভান ভুকোমানোভিচের দল। অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল পেপার তাঁদের কাছে অনেকটাই সহজ। আর এই পেপার থেকে পুরোদমে ৩ পয়েন্ট তুলে ঘরে ফিরতে চায় কেরালা ব্লাস্টার্স। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
শুক্রবার লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে জ্যাক জার্ভিসের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সই সমস্যা মিটেছে। এলিয়ান্দ্রোর বদলি হিসেবে ব্রিটিশ ফুটবলারকে নিয়ে এসেছেন কনস্ট্যান্টাইন। কেরল ম্যাচে নামার আগে কনস্ট্যান্টাইনের গলায় পরের মরসুমের কথা। ব্রিটিশ কোচ বলেন, ‘সুপার কাপ আর পরের মরসুমের কথা আমাদের এখন ভাবতে হবে। জ্যাককে নিশ্চয়ই সে কথা মাথায় রেখেই দলে নেওয়া হয়েছে। পরের মরসুমের পরিকল্পনা এখন থেকেই করতে হবে। ফুটবলারদেরও সেই মতো বাকি ম্যাচগুলোয় পারফর্ম করতে হবে। হয় এই দলে টিকে থাকো, না হলে অন্য দলে নিজের জায়গা করে নাও। আশা করি, পরের মরসুমে আমরা ঠিক প্রথম ছয়ে শেষ করব। সেই মতো অনেক পরিশ্রমও করছি। আমি যখন চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, সেটা করেই ছাড়ব।’ ভালো মানের ফুটবলারদের অভাবেই দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স। কনস্ট্যান্টাইনের যুক্তি, ‘ধরা যাক, কোনও এক শনিবার আমরা সুপারমার্কেটে ঘুরতে গিয়েছি। রবিবার দোকান বন্ধ। আর শনিবার রাত ১০টায় দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সেখানে পৌঁছেছি রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে। অন্যরা যখন সন্ধে থেকে সেখানে রয়েছে, আমরা একেবারে শেষ বেলায় পৌঁছেছি। তখন তো ভালো জিনিস হাতে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। ফুটবলারদের ট্রান্সফার মার্কেটও অনেকটা সে রকম।’
নিজের দায়বদ্ধতার প্রতি দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘আমি জিকো নই যে, আমার কোচিংয়ে কোনও দল খারাপ পারফর্ম করল, আর আমি আরও একটা ভালো দল পেয়ে গেলাম কোচিংয়ের জন্য। আমি স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। কোচিং জগতে টিকে থাকতে হলে আমাকে পরিশ্রম করতে হবে। দলকে ভালো পারফর্ম করতে হবে। আমি নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।’
একই সঙ্গে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও একহাত নেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। আইএসএলের প্রথম ছয় প্লে অফে খেলবে। এই নিয়মের বিরোধিতা করে ব্রিটিশ কোচ বলেন, ‘ইংল্যান্ডে লিগ চলাকালীনই এফএ কাপ চলে। এখানে আবার আইএসএলে প্রথম ছয় দল প্লে অফ খেলবে। তাহলে বাকি দলগুলো সুপার কাপের আগে পর্যন্ত কী করবে? অনেকটা সময় ফাঁকা। তাহলে কি তারা ফ্রেন্ডলি খেলে যাবে? শুধু ইংল্যান্ড কেন, এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতেও এ ভাবে ফুটবল হয় না। লিগ চলাকালীনই অন্যান্য টুর্নামেন্ট হয়।’