এমার্জিং এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এক পেশে ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারায় ভারত। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য। যদিও সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বিশাল বাধা পেরোতে হবে ভারতকে। ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৩৫২ রানের বিশাল স্কোর পাকিস্তানের। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর প্রতিবেদনে।
গ্রুপ পর্বে প্রথম তিন ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। সেমিফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয়। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি। ভারত মাত্র ২১১ রানে অলআউট হয়। অনবদ্য বোলিংয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করে ফাইনালে ভারত। ফাইনালেও রান তাড়ার ফর্মূলায় ফিরল ভারতীয় দল। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত অধিনায়ক যশ ধুলের। এই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে ম্যাচ শেষের পর। ইনিংস ব্রেকে ব্যাকফুটে ভারত।
পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১২১ রান। ২৮তম ওভারে জোড়া ধাক্কা দিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। দ্রুত পাকিস্তান অধিনায়ক মহম্মদ হ্যারিসকে ফেরান নিশান্ত সিন্ধু। ১৮৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন তায়েব তাহির ও মুবাসির খান। ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের (১২৬) জুটি গড়ে তারা। ৬৬ বলে সেঞ্চুরি তায়েব তাহিরের। এ বারের টুর্নামেন্টে এই নিয়ে তিন ম্যাচে ৩০০ প্লাস স্কোর গড়ল পাকিস্তান।
শেষ অবধি ৭১ বলে ১০৮ রানে ফেরেন তায়েব। রাজবর্ধন হাঙ্গারকেকরের বলে লং অনে ক্যাচ। ততক্ষণে অবশ্য দলের জন্য শক্ত ভিত করে দিয়েছেন। স্লগ ওভারে রাজবর্ধন ও হর্ষিত রানা উইকেট নিয়ে রানের গতি আটকানোর চেষ্টা করলেও খুব একটা পার্থক্য হয়নি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫২ রান তুলেছে পাকিস্তান। কলম্বোর এই মাঠে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া ওডিআই ম্যাচে ২৯২ চেজ হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের জন্য কঠিন লক্ষ্য।