
নয়াদিল্লি: গত বারের চ্যাম্পিয়নরা অবশেষে পয়েন্ট পেয়েছে। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতেছে ইংল্যান্ড। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাছে যা কিছুটা হলেও স্বস্তির। তবে নানা অস্বস্তিও রয়েছে। কম্বিনেশন যেন কিছুতেই ঠিকঠাক হচ্ছে না। আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আফগানদের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। আফগানদের কোচ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার জোনাথন ট্রট। ইংল্যান্ডের খেলার ধরণ, তাঁর কাছে অজানা অচেনা নয়। দিল্লির হাইস্কোরিং ভেনু, ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন আপ। নজরে রশিদ খান ও আদিল রশিদ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আফগানিস্তান ক্রিকেটের জনপ্রিয় মুখ রশিদ খান। বিশ্ব ক্রিকেটে ছাপ ফেলেছেন আফগানিস্তানের এই রিস্ট স্পিনার। যদিও দল হিসেবে নজর কাড়তে ব্যর্থ। ধরমশালায় প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হার। দিল্লিতে ভারতের কাছেও পরাজিত আফগানিস্তান। এ বার সামনে ইংল্যান্ড। আফগান টিমের ম্যাচ উইনার বলা যায় রশিদকে। কিন্তু সতীর্থদের থেকে ফুল সাপোর্ট না পেলে তাঁর পক্ষেও কি বিশেষ কিছু করা সম্ভব? আফগানিস্তান ক্রিকেট গত কয়েক বছরে দারুণ উন্নতি করেছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নানা চমক দেয়। মাল্টি টিম ইভেন্টে তাদের ব্যর্থতা জারি। এ বারের বিশ্বকাপেও হারের হ্যাটট্রিকের সামনে। ঘুরে দাঁড়াতে মূল ভরসা সেই রশিদ খান।
গত বারের রানার্স নিউজিল্যান্ডের কাছে এক পেশে হারে ভেঙে পড়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। ইংল্যান্ড ছন্দ ফিরে পেয়েছে, এ কথা বলা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে জয় এসেছে। ওয়ান ডে ফরম্যাটে অন্যতম ভরসা রিস্ট স্পিন। ইংল্যান্ড টিমে রয়েছেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। তাঁর দক্ষতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে এখনও অবধি ছাপ ফেলতে পারেননি। তাঁর সংগ্রহে মাত্র ১ উইকেট। গত ম্যাচে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহদি হাসান মিরাজের উইকেট নিয়েছিলেন।
প্রথম দু-ম্যাচ মিলিয়ে ১৭ ওভার বোলিং করেছেন আদিল রশিদ। রান খরচ করেছেন ৮৯। কাঁধের চোট পুরোপুরি সেরে উঠেছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কেন না, এই লেগ স্পিনারের গতির হেরফের অন্যতম সেরা অস্ত্র। আদিলের বেশির ভাগ ডেলিভারিই হচ্ছে ৮০কিমি/ঘণ্টারও কম! ইংল্যান্ড শিবিরে যা অন্যতম চিন্তার বিষয়। আজ ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে দুই লেগ স্পিনার রশিদ খান এবং আদিল রশিদেই যেন বাড়তি নজর।