Eoin Morgan: অবসরের পথে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক! জোর জল্পনা

সাদা বলে গত ২৮ টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে মাত্র দুটি অর্ধশতরান। একেবারেই মরগ্যানসুলভ নয়। এই বয়সে নিয়মিত চোট সারিয়ে পুরো ফিট হয়ে মাঠে নামা খুবই কঠিন।

Eoin Morgan: অবসরের পথে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক! জোর জল্পনা
বিশ্বকাপ হাতে মরগ্যান।Image Credit source: TWITTER

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Jun 27, 2022 | 1:49 PM

 

লন্ডন:ক্রিকেটের আঁতুরঘর। কিন্তু ওডিআই বিশ্বকাপ জিততে পারে না! ২০১৯-র আগে ইংল্যান্ডকে (ECB) এমনটাই শুনতে হত। সেই চিত্রটা বদলে দিয়েছেন একজন আইরিশম্যান। ইওন মর্গ্যান (Eoin Morgan)। সাদা বলের ক্রিকেটে একটা বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন আপ গড়েছেন। যারা একের পর এক কীর্তি গড়েছে। ইংল্যান্ডে সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন দিশা দেখানো মর্গ্যানের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ এক অনিশ্চয়তায়। যা পরিস্থিতি, দ্রুতই অবসর ঘোষণা করতে পারেন তিনি। চোট এবং খারাপ ফর্মের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। ৩৫ বছরেরে মর্গ্যানের নেতৃত্বেই সম্প্রতি নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে ইংল্যান্ড। ওডিআই ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বাধিক রানের নজির। অল্পের জন্য ৫০০-র ঘরে পৌঁছয়নি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪৯৩ রানের কীর্তি গড়ার ম্যাচে ব্যাট হাতে মর্গ্যানের অবদান ০। পরপর দু ম্যাচে তাঁর ব্যাটে ০। তৃতীয় ম্যাচে খেলেননি মর্গ্যান। সরাকারিভাবে কুঁচকির চোট বলা হয়। সেটা যে আসল কারণ নয়, অনুমান করা গিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই। কর্পোরেট ক্রিকেটে খেলেছেন মর্গ্যান। চোট থাকলে এমন ঝুঁকি হয়তো নিতেন না।

 

এবছর অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপ। আগামী বছর ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ। সামনেই ভারতের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ। সে কথা ভেবেই এখন থেকে নতুন কারও হাতে সাদা বলের নেতৃত্বের ভার দেওয়া হতে পারে। ২০১৫ থেকে মর্গ্যানের ডেপুটি হিসেবে পালা করে রয়েছেন জস বাটলার এবং মইন আলি। বাটলার ১৩ ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন। মইন আলিও নেতৃত্বের অন্যতম দাবিদার। খারাপ ফর্মের দিক থেকে মর্গ্যান পাশে পেয়েছেন ইংল্যান্ডের সাদা বলের নতুন কোচ ম্যাথিউ মটের। তেমনই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর রব কি-ও ভরসা রাখছেন। মর্গ্যান নিজেই ভবিষ্যৎ নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের পথে। সাদা বলে গত ২৮ টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে মাত্র দুটি অর্ধশতরান। একেবারেই মর্গ্যানসুলভ নয়। এই বয়সে নিয়মিত চোট সারিয়ে পুরো ফিট হয়ে মাঠে নামা খুবই কঠিন। সম্প্রতি নেদারল্যান্ড সিরিজের আগে ইংল্যান্ডের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে মর্গ্যান বলেছিলেন, ‘আমার যদি মনে হয়, আর যোগ্য নই। বা আমার যদি এমন অনুভূতি হয়, দলে আর অবদান রাখতে পারছি না, সেখানেই ইতি।’ হয়তো সেটাই মনে হচ্ছে মর্গ্যানের।

 

ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ইতিহাসে এক আইরিশম্যানের কীর্তি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলতেন মর্গ্যান। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলা শুরু করেন। ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে তাঁর মতো বিধ্বংসী ব্যাটারের অন্তর্ভূক্তি চিত্রটাই বদলে দিয়েছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে অ্যালিস্টার কুকের থেকে ওডিআই নেতৃত্ব নেন। সেই বিশ্বকাপে সাফল্য আসেনি। ২০১৯ ঘরের মাঠে রূপকথা তৈরি হয়েছে। লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। ওডিআই ক্রিকেটে ২২৫ ম্যাচে প্রায় ৭ হাজার রান। টি ২০ তে ১১৫ ম্যাচে প্রায় ২৫০০ রান। ২০১০-২০১২ তে ১৬ টি টেস্টও খেলেছেন। দুটি শতরান। সাদা বলের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলতে কোনও তর্কের জায়গা নেই।