Rinku Singh: সাফাইকর্মী থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে, কেমন ছিল রিঙ্কু সিংয়ের ছেলেবেলা?

Rinku Singh's Childhood: ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি টান ছিল রিঙ্কুর। পড়াশোনার থেকে ক্রিকেট খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন। আলিগড়ে বড় হয়ে ওঠেন। অভাবের সংসার। বাবার খানচন্দ্র সিং বাড়ি-বাড়ি গ্যাস বিলি করতেন। মা গৃহিনী। দাদা অটো চালাতেন। বেশ অভাবেই কেটেছে ছেলেবেলাটা। পরিবার চায়নি ছেলে ক্রিকেটার হোক। বরং ছেলে বড় হয়ে চাকরি করে সংসারের হাল ধরুক, এটাই চেয়েছিলেন তাঁরা। সংসারের হাল ধরতে একসময় এক কোচিং সেন্টারে সাফাইয়ের কাজ করেছেন রিঙ্কু।

Rinku Singh: সাফাইকর্মী থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে, কেমন ছিল রিঙ্কু সিংয়ের ছেলেবেলা?
রিঙ্কুর পরিবারImage Credit source: ছবি: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2023 | 8:31 PM

কলকাতা: ছেলেবেলা থেকে একটা কথা আমরা কমবেশি শুনে এসেছি, আগে পড়াশোনা তারপর খেলাধূলো। তবে সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে এই প্রচলিত কথাটা বদলেছে। কারণ বদলে গিয়েছে বাস্তব। এখন খেলাধূলো করে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা। যার অন্যতম উদাহরণ রিঙ্কু সিং। ক্রিকেটমহলে যাঁকে ঘিরে উন্মাদনার শেষ নেই। আইপিএলের জার্সিতে অভিষেকেই জাত চিনিয়েছিলেন রিঙ্কু। সদ্য শেষ হওয়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও চাপের মুখে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন। আজকের এই রিঙ্কুর, রিঙ্কু হয়ে ওঠার পিছনের কাহিনিটা এতটা গোছানো বা সুন্দর নয়। ছেলেবেলাটা কেটেছে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে। কেমন ছিল রিঙ্কুর ছেলেবেলা? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি টান ছিল রিঙ্কুর। পড়াশোনা করার চেয়ে ক্রিকেট খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন। আলিগড়ে বড় হয়ে ওঠেন। অভাবের সংসার। বাবার খানচন্দ্র সিং বাড়ি-বাড়ি গ্যাস বিলি করতেন। মা গৃহিনী। দাদা অটো চালাতেন। বেশ অভাবেই কেটেছে ছেলেবেলাটা। পরিবার চায়নি ছেলে ক্রিকেটার হোক। বরং ছেলে বড় হয়ে চাকরি করে সংসারের হাল ধরুক, এটাই চেয়েছিলেন তাঁরা। সংসারের হাল ধরতে একসময় এক কোচিং সেন্টারে সাফাইয়ের কাজ করেছেন রিঙ্কু। তবে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হবেন। সেই লক্ষ্যেই অবিচল ছিলেন। স্থানীয় টুর্নামেন্টে ডাক পেলেই চলে যেতেন খেলতে। ২০১২ সালে স্কুল টুর্নামেন্ট জিতে প্রাইজ মানি হিসেবে বাইক পেয়েছিলেন। আর তাতেই মত বদলে যায় পরিবারের। তাঁরাও তখন বুঝেছিলেন ক্রিকেট খেলেও টাকা উপার্জন করা যায়। স্থানীয় টুর্নামেন্ট খেলে যে টাকা পেতেন তা জমিয়ে ঋণ শোধ করেন।

জীবনটা বদলাতে শুরু করে ২০১৭ সাল থেকে। এই বছরই পঞ্জাব কিংসের জার্সিতে আইপিএলের জার্সিতে অভিষেক হয়। মাত্র ১০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছিল প্রীতি জিন্টার দল। তবে রিঙ্কুর উত্থান কেকেআরেরে জার্সিতে। এক কথায় কেকেআরের জার্সিতে সোনা ফলিয়েছেন রিঙ্কু। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এখন সংসারের হাল ফিরেছে। দাদা অটো চালানো ছেড়ে ঋণের ব্যবসা করেন। বোনকে  বিএ পড়াচ্ছেন দাদা রিঙ্কু। এখন ছেলেকে একডাকে চেনে সক্কলে।  দেশজোড়া খ্যাতি তাঁর। এর থেকে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে বাবা মায়ের কাছে।