ICC U19 Women’s World Cup: মিতালি, ঝুলনরা পারেননি; ছোটদের হাত ধরে মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম আইসিসি ট্রফি

উদ্বোধনী অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ। মাঠের বাইরে থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নিলেন মিতালি, ঝুলনরা। নিঃসন্দেহে তাঁরা এই দিনটির জন্য গর্বিত।

ICC U19 Womens World Cup: মিতালি, ঝুলনরা পারেননি; ছোটদের হাত ধরে মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম আইসিসি ট্রফি
Image Credit source: Twitter

| Edited By: তিথিমালা মাজী

Jan 30, 2023 | 1:17 AM

কলকাতা: দীর্ঘ দুই দশকের কেরিয়ারে তাঁরা অপার সাফল্য, অর্থ, খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু একটা আফসোস রয়েই গিয়েছে। এত বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাননি ভারতের মহিলা ক্রিকেটের দুই মুখ মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামী। ২০২২ সালে কয়েক মাসের ব্যবধানে বাইশ গজকে বিদায় জানিয়েছেন দুই কিংবদন্তি। ভারতীয় ক্রিকেট এখন মিতালি, ঝুলন শূন্য। তাঁদের অবসরের কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবার মেয়েদের ক্রিকেটে এল আইসিসি ট্রফি। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯  মেয়েদের বিশ্বকাপ (U19 Women’s World Cup 2023) ঘরে আনলেন শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুরা। কাকতালীয়ভাবে উদ্বোধনী অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজ। মাঠের বাইরে থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নিলেন মিতালি, ঝুলনরা। নিঃসন্দেহে তাঁরা এই দিনটির জন্য গর্বিত। বিস্তারিত আসছে TV9 Bangla

মেয়েদের ক্রিকেটে ভারতীয় দল এর আগে কখনও আইসিসি ট্রফি জেতেনি। ২০০৫ সালে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছিল উইমেন্স ইন ব্লুকে। ২০১৭ সালে ফের ওডিআই বিশ্বকাপে খেলেছিল ভারত। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচে ৯ রানে হেরে গিয়েছিলেন মিতালি রাজরা। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেখানেও হারই জোটে টিম ইন্ডিয়ার কপালে। সিনিয়ররা পারেননি ভারতকে আইসিসি ট্রফি এনে দিতে। সেটাই এ বার করে দেখাল ভারতের জুনিয়ররা। ২০২৩ সালের সূচনাটা হল দারুণ।

বিশ্বকাপের মঞ্চ শেফালিদের কোচ নুশিন আল কাদিরের কাছে নতুন নয়। ২০০৫ সালে প্রথমবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলেছিল ভারত। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্লেয়ার হিসেবে নুশিন হেরে গিয়েছিলেন। নুশিনের সেই আক্ষেপটা অবশেষে মিটল। এ বার কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন নুশিন। ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী সংস্থার সামনে গর্বিত কোচ বললেন,  “এই অনুভূতিটার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে ছিলাম। এককথায় দারুণ অনুভূতি। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, আমাদের মধ্যে বিশ্বাসটা বজায় ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খারাপ পারফরম্যান্স আমাদের বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারেনি। জাতীয় সঙ্গীতের সময় গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। গোটা ম্যাচ জুড়ে সেটাই অনুভব করেছি। এই বিশ্বকাপ জয় বুঝিয়ে দিল, আমাদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত।”