
করাচি: কেন পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতি হয় না? কেন ব্যর্থতার সময় দাঁত-নখ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রাক্তনরা? কারণ, ওই দেশের ক্রিকেট পরিবেশটাই তা-ই। সফল কোনও ক্রিকেটার ব্যর্থ হলেই তাঁকে সমালোচনা করা হবে। এর জন্য কতটা ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে পাক ক্রিকেটের, তা যদি জানতেন তাঁরা। এই সহজ পাঠ এ বার দেওয়ার চেষ্টা করলেন খোদ রামিজ রাজা (Ramiz Raja)। পাকিস্তান কিছু শেখার চেষ্টা যখন করে, ভারতকেই (India vs Pakistan) সামনে রাখে। এই ক্ষেত্রেও তাই করা হল। পাকিস্তানের প্রাক্তন বোর্ড প্রধান নিজের দেশকে ‘শিক্ষিত’ করার জন্য সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) উদাহরণই তুলে ধরলেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
পাকিস্তানের স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রামিজ রাজা বলেছেন, “শোয়েব আখতার একজন স্বঘোষিত সুপারস্টার। যা ইচ্ছা হয় বলে দেয়। কিছুদিন আগেও কামরান আকমলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল ও। শোয়েব চায়, সবাই ব্র্যান্ড হয়ে উঠুক। কিন্তু ব্র্যান্ড হওয়ার আগে প্রয়োজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার।”
রামিজ রাজাই বা এত রেগে গেলেন কেন? আসলে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোয়েব।তিনি মনে করেন, বিরাট কোহলির সমতুল্য ব্যাটার বাবর আজম। কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে বিরাট যে ভাবে সাবলীল ইংরেজিতে কথা বলে, বাবর তা পারে না। পাকিস্তানি একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, “আমি বাবর আজমকে ছোটো করছি না। ও এখন ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। সেটা ভেবেই ওর কথা বলা উচিত।”
কিছুদিন আগে একটি লাইভ শোতেও কামরান আকমলের সমালোচনা করতে ছাড়েননি শোয়েব। আকমলের নাম করেই তিনি বলেন, “ও একজন ম্যাচ উইনার। পাকিস্তানকে অনেক খেলা জিতিয়েছে। তবে আমি শুনেছি, ইংরেজিতে ও স্ক্রিনকে সাকৃণ বলেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
নিজের দেশের সতীর্থদের সম্পর্কে শোয়োবের এহেন মন্তব্য ক্ষুব্ধ করে তুলেছে রামিজ রাজাকে। পাক ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেছেন, “আমাদের প্রতিবেশী ভারতে কখনও এরকম দেখতে পাওয়া যাবে না। সুনীল গাভাসকর কখনও রাহুল দ্রাবিড়ের সম্পর্কে কোনও অপমানজনক কথা বলতে কেউ শুনেছে। আমাদের দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাই অযৌক্তিক মন্তব্য করে নিজেদের বর্তমান খেলোয়াড়দের ছোটো করে।”
পাক ক্রিকেটে কাদা ছোড়াছুড়ি নতুন নয়। রামিজ নিজেও কম বিতর্কিত মন্তব্য করেননি। শোয়েব আখতারের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা শুনে এই রাজা আবার বলেছেন, “পিসিবির সভাপতি হওয়ার আগে ওর উচিত গ্র্যাজুয়েশনটা পাস করা।”