মুম্বই: জীবনের প্রতিটা পরিস্থিতি দুটো দিক খুলে দেয়। তার মধ্যে একটা বেছে নেওয়া খুবই কঠিন। পিঠে চোটের কারণে ক্রিকেট থেকেই হয়তো বিদায় নিতে হত। দীর্ঘদিনের রিহ্যাব সেরে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন ২৭ বছরের অজি ক্রিকেটার। কথা হচ্ছে তাহিলা ম্যাকগ্রাকে (Tahlia McGrath) নিয়ে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। কেরিয়ারের শুরুটা করেছিলেন বোলার হিসেবে। তবে ঘটনাচক্রে বাধ্য হয়েই তাঁকে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে হয়। আর সেখানেও বাজিমাত।পিঠের চোট সারিয়ে আজ তিনি বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টি২০ ব্যাটার। এখন তাঁকে পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলা শ্রেয়, নাকি ব্যাটিং অলরাউন্ডার! পথটা সহজ ছিল না। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
মাত্র ২১ বছর বয়সে ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই দলে ডাক পান তাহিলা ম্যাকগ্রা। এর পরের বছরেই অ্যাসেজ টেস্ট অভিষেক হয়। এরপর ২০১৭-২০২০ সাল অবধি চোটের কারণে বাইশ গজ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। ক্রিকেট ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগ দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু প্রিয় মাঠ থেকে দূরত্ব বাড়ানো সহজ নয়। এত কঠিন রাস্তা পার হলেন কী ভাবে! এর উত্তর দিলেন তাহিলাই, “আমার পরিবার, বন্ধু এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অনেকে রয়েছেন যাদের সঙ্গে আমি সময় কাটিয়েছি। মেন্টাল কোচের সঙ্গেও এই বিষয়ে অনেক আলোচনা করেছি। প্রায় ২ বছর রিহ্যাবের পথ একদমই সহজ ছিল না। পিঠের চোট সারিয়ে মাঠে নামতে প্রায় দু-বছর সময় লেগে যায়। মনে আছে, প্রতি মাসেই আমার এমআরআই হত।”
বর্তমানে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে মাঠ কাপাচ্ছেন তিনি। ইউপি ওয়ারিয়র্সের ব্যাটিং-বোলিংয়ে অন্যতম ভরসা তাহিলা ম্য়াকগ্রা। প্রথম চারটি ম্যাচে ১৪০ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৫৯.০৯। রিহ্যাব থেকে ফিরে মাঠে নেমে তিনি একটি অ্যাসেজ, ওডিআই এবং টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। এমনকি অধিনায়ক হিসেবে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের মহিলা বিগ ব্যাশ ট্রফিও জিতেছেন। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
এই ব্যাটার হিসেবে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তাঁর মত, “রিহ্যাবে থাকাকালীন ব্যাটিংয়ে উন্নতির জন্য পরিশ্রম করেছি। আমার ফিটনেস এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্যও পরিশ্রম করেছি। হয়তো এ কারণেই আমি আরও পেশাদারিত্ব শিখতে পেরেছি।” তাঁর কাছে কোন কিছুই কঠিন নয়। কঠোর পরিশ্রমে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব। তাহিলার মতে নিজের দ্বিতীয় সংস্করণ তৈরি করতে পেরেছেন তিনি।তাঁর কথায়, “আমার দ্বিতীয় সংস্করণ আগের থেকে অনেক শান্ত এবং আত্মবিশ্বাসী। যে সবকিছুই খুব সহজভাবে করার ক্ষমতা রাখে”।