
কলকাতা: সব ভালো, যার শেষ ভালো। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের শুরুটা বিধ্বংসী, আর শেষটা স্বপ্নপূরণের। মাঝে স্মরণীয় কয়েকটা ম্যাচ। এর মধ্যে আলাদা করে বলতে হয় ভারত বনাম ইংল্যান্ডের সেই ম্যাচের কথা। বিশ্বকাপ মানেই মহারণ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষা। টিম ইন্ডিয়া বিশ্বজয়ের স্বপ্নে বুঁদ। এরই মাঝে একটা যেন সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ বার ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। ২০১১ সালেও বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ভারত। তবে সে বার ভারতের সঙ্গে মিলিত ভাবে আয়োজনের দায়িত্বে ছিল শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশও। এ বার একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি হয়েছিল বাংলাদেশের মিরপুরে। দুই আয়োজক দেশের লড়াই। প্রথম ম্যাচেই ঝড় তুলেছিল ভারত। বীরেন্দ্র সেওয়াগের সামনে থরহরিকম্প বাংলাদেশ বোলিং। সঙ্গে চারে নেমে তরুণ বিরাট কোহলির দাপট। বীরেন্দ্র সেওয়াগ ১৭৫ এবং কোহলি অপরাজিত ১০০ করেন।
বিশ্বকাপে ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী জয়ের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমেছিল ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেওয়াগ মাত্র ৩৫ রানে ফিরলেও মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের সেঞ্চুরি। ১১৫ বলে ১২০ রান করেন সচিন। গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিংয়ের অর্ধশতরান। লোয়ার অর্ডার অবশ্য তেমন অবদান রাখতে পারেনি। ইনিংসে ১ বল বাকি থাকতে ৩৩৮ রানে অলআউট ভারত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা হলেও তখনও ৩৩৮ যথেষ্ট বড় স্কোর। এই স্কোর, ভারতের অনবদ্য বোলিং লাইন আপ, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল ভারত। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেন ক্যাপ্টেন অ্যান্ড্রু স্ট্রস। ১৪৫ বলে ১৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ইয়ান বেল করেন ৬৯ রান। তবে ইংল্যান্ডের ‘লেজ’ যেন শেষই হতে চায় না।
ইনিংসের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জিততে প্রয়োজন ১৪ রান। ভারতের দরকার ২ উইকেট। বোলিংয়ে মুনাফ প্যাটেল। ক্রিজে গ্রেম সোয়ান ও আজমল শেহজাদ। প্রথম বলে সোয়ানের ২ রান। পরের বলে সিঙ্গল। আজমল শেহজাদ তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়েই ছয় মারেন। পরের বলে বাই রান নেয় ইংল্যান্ড। পঞ্চম বলে দু-রান সোয়ানের।
শেষ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ রান। মুনাফ প্যাটেলের নিখুঁত লাইন লেন্থের ডেলিভারিতে অনবদ্য ড্রাইভ সোয়ানের। মিড অফে ফিল্ডিংয়ে গন্ডগোল। সিঙ্গল সম্পূর্ণ করে সোয়ান-শেহজাদ জুটি। ম্যাচ টাই করে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ মানেই তো স্মরণীয় মুহূর্ত!