আমেদাবাদ : দলের ওপেনার ৫০ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলছেন। অথচ ২০ ওভারে দলের রান ৭ উইকেটে ১৭৮! গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এমন পরিস্থিতিই হল চেন্নাই সুপার কিংসের। শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৭ বলে ১৪ রানের ক্যামিও না খেললে…। চেন্নাই শিবিরে প্রশ্নের মুখে মিডল অর্ডার। অম্বতি রায়ডু ১২ বলে ১২, শিবম দুবে ১৮ বলে ১৯, রবীন্দ্র জাডেজা ২ বলে ১। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় যে ভাবে খেলছিলেন, মিডল অর্ডার একটু ভরসা দিলে ২০০ রান করতে পারত চেন্নাই সুপার কিংস। ম্য়াচ শেষে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও চিহ্নিত করলেন, কোথায় ভুল হয়েছে। বোলিংয়ে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে মোড় ঘুরিয়েছেন রশিদ খান। মইন আলি এবং বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে চেন্নাইয়ের রানে লাগাম দেন। রায়ডু, শিবম দুবে, জাডেজাকে ফেরান জশ লিটল, মহম্মদ সামি ও আলজারি জোসেফ। রান তাড়ায় সাময়িক চাপে পড়লেও ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্য়ে পৌঁছায় গুজরাট। ম্যাচ শেষে দু-দলের অধিনায়ক ও ম্যাচের সেরা রশিদ খান যা বললেন…। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
গত বারই আইপিএলে অভিষেক হয়েছে গুজরাট টাইটান্সের। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা। এই নিয়ে তৃতীয় বার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। হার্দিকের দলের বিরুদ্ধে হারের হ্যাটট্রিক। ম্যাচ শেষে ক্য়াপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ‘আমাদের কিছুটা রান কম ছিল। আরও ১৫-২০ রান থাকলে ভালো হত। সকলেই জানতাম, দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির কার্যকর হতে পারে। রাতের ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করা একটু কঠিন। বল আটকে আসে। তবে আমরাও ভালো ব্য়াট করতে পারিনি। বিশেষ করে মিডল ওভারে। বড় শট না খেলে টাইমিংয়ে জোর দিতে হত।’ বোলিংয়ের দিক থেকেও যে ভুল হয়েছে, স্বীকার করে নিলেন সিএসকে অধিনায়ক। গুজরাট মাত্র ১টি নো বল দিয়েছে। সেখানে সিএসকে ২টি নো বল এবং ৪টি ওয়াইড। ক্লোজ ম্য়াচে এগুলো পার্থক্য় গড়ে দেয়। ধোনির কথায়, ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা দুটো নো-বল করেছি। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
হার্দিক ব্য়াটে-বলে ভরসা দিতে না পারলেও জিততে সমস্য়া হয়নি গুজরাটের। গত মরসুমেও টিম গেম দেখা গিয়েছে। এ বারও শুরুতেই দেখা গেল। শুভমন গিল যেমন লম্বা ইনিংস খেললেন, ব্য়াট হাতে অবদান রাখলেন ঋদ্ধিমান সাহা, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সাই সুদর্শন, বিজয় শঙ্কর, রশিদ খান এবং রাহুল তেওয়াটিয়ারা। জয় দিয়ে শুরু করে উচ্ছ্বসিত হার্দিক বলছেন, ‘জিততে পারায় অবশ্য়ই খুশি। তবে নিজেরাই নিজেদের চাপে ফেলেছিলাম। চেন্নাইকে ১৭৮ রানে আটকে রাখতে পারায় খুশি। কেন না, ওরা যেভাবে খেলছিল, ২০০ রান হতে পারতো। কিন্তু রান তাড়ায় আমার এবং শুভমনের শট, কিছুটা চাপে ফেলেছিল। ম্যাচ ফিনিশ করে আসা উচিত ছিল। সবসময় যাতে রশিদ খান, রাহুল তেওয়াটিয়াদের এটা করতে না হয়, আমাদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে।’
বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। রান তাড়ায় শেষ দিকে চাপের মুহূর্তে ৩ বলে ১০ রান। ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় রশিদ খানকে। টাইটান্সের জয়ের নায়ক বলছেন, ‘প্রথম ম্যাচেই সেরার পুরস্কার, টুর্নামেন্টের বাকি সময়টার জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’