কলকাতা : তখন কোভিড অতিমারিতে কাঁপছে দেশ। লকডাউনের সময় হঠাৎ করেই দেখা গিয়েছিল, রোকা সেরে ফেলেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। কয়েকমাসের মধ্যে চারহাত এক হয়ে যায়। ভারতীয় ক্রিকেটারের স্ত্রী সম্পর্কে জানতে হামলে পড়ে মানুষজন। জানা যায়, লকডাউনে নাচ শিখতে গিয়ে ধনশ্রী ভার্মার প্রেমে পড়েন চাহাল (Yuzvendra Chahal)। দু’মাসের নাচের ক্লাস চলেছিল। তার মধ্যেই বিয়ের প্রস্তাব দেন চাহাল। অথচ বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে ধনশ্রী নাকি জানতেই না চাহালের আসল পরিচয়। চাহাল যে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সেই বিষয়ে ধারণা ছিল না ডান্সার-কোরিওগ্রাফারের। ‘দ্য রণবীর শো’-তে গিয়ে একে অপরের মুখোমুখি বসে লকডাউনের প্রেম ও পরিণতির গল্প শুনিয়েছেন চাহাল ও ধনশ্রী (Dhanashree Verma)। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লকডাউনে কিছু করার ছিল না তাই নাচের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চাহাল। সেটাই তাঁর জীবন বদলে দেয়। টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ধনশ্রীর নাচের রিলস দেখেছিলেন। চাহাল বলেছেন, “আমি ওকে ডিএম করেছিলাম নাচের ক্লাস শুরু করব বলে। নতুন কিছু শিখতে চেয়েছিলাম। মেসেজ করার পর অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। প্রথমদিকে নাচ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলতাম না। ফ্লার্টিংয়ের প্রশ্নই ছিল না। কারণ আমরা বন্ধুও ছিলাম না। যা কথা হত নাচ সংক্রান্ত।”
কীভাবে প্রেম শুরু হল দু’জনের? চাহাল বলেছেন, “একদিন আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, লকডাউনের সময়ও কীভাবে তুমি এত হাসিখুশি থাকো। তখন ও নিজের জীবনের কথা বলতে শুরু করল। আমাদের কথোপকথন শুরু হয় সেখান থেকে। ও নিজেকে গড়েছে, আমিও সেল্ফ মেড ম্যান। মাকে বললাম আমার এই মেয়েটাকে ভালো লাগে। তারপর ধনশ্রীকে বলি, তোমার সঙ্গে ডেটে যেতে চাই না। তোমাকে বিয়ে করতে চাই। সরাসরি বলেছিলাম। তবে নিশ্চিত ছিলাম যে ও না করবে না। আমরা প্রচুর চ্যাট করতাম।”
সাদাসিধে, সোজা সাপ্টা কথা বলা চাহালকে ভালো না লাগার কোনও কারণ ছিল না ধনশ্রীর সামনে। তিনি বলেছেন, “যাঁরা নিজেদের প্যশন নিয়ে প্যাশনেট তাঁদের আমি পছন্দ করি। একটা সময় ভীষণ ক্রিকেট দেখতাম। যখন ক্রিকেট দেখা বন্ধ করলাম ওর ডেবিউ হল। সেটাই বরং ভালো হয়েছিল। ও যখন আমায় মেসেজ করে আমি জানতামও না যুজি চাহাল আসলে কে। নাচের প্রতি ভীষণ সিরিয়াস ছিল, যেটা আমার ভালো লাগত। নাচের ভিডিয়ো করে আমার পাঠাতো। দু’মাস চলেছিল ক্লাস। ওর ভদ্রতা আমার নজর কাড়ত।”