
ডিসেম্বরের ৯ তারিখ, মঙ্গলবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে ভরা ঠান্ডার মধ্যে এক ঝড় দেখলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। আর সেই ঝড়ের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দিল ভারত। আর এই ঝড়ের নাম হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ২৮ বলে ঝোড়ো ৫৯ রানই আসলে এই জয়ের পিছনে মূল ভিত্তি। উইকেট তো কঠিন ছিল, তাহলে কোন ম্যাজিক এদিন দেখালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার?
ভারতের করা ১৭৫ রান (দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ছিল ১৭৬ রানের) তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১২ ওভার ৩ বলে গুটিয়ে গেল মাত্র ৭৪ রানে। এই ৭৪ নাকি টি২০ ফর্ম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার করা সর্বনিম্ন রান। শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপে আঘাত হানেন অর্শদীপ সিং। নতুন বলে তাঁর বিষাক্ত আউটস্যুইংয়ে ফিরে যান ক্যুইন্টন ডি কক। সেকেন্ড স্লিপে কোনও ভুল করেননি অভিষেক শর্মা। আর তারপর ব্যাটারদের জন্য স্পিনের জাল বোনেন অক্ষর প্যাটেল।
তবে এই ম্যাচে একটা মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেললেন ভারতীয় পেসার জশপ্রীত বুমরা। এই ম্যাচেই টি২০ ক্রিকেটে তাঁর ১০০তম উইকেটটি নিলেন তিনি। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও কেশব মহারাজকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কফিনে কার্যত শেষ পেরেক পুঁতে দেন তিনি। ডেভিড মিলার বা মার্করাম, কেউই স্থায়ী হতে পারেননি। মাত্র ৫০ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা।
ভারত যখন ব্যাট করছিল সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা মূলত জানসেন ও এনগিডি বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ভারতকে। সঙ্গে দোসর হিসাবে ছিলেন দোনোভান ফেরেইরা। এনগিডি ৩ উইকেট ও ফেরেইরা ১ উইকেট তুলে নেন। আর উল্টো দিকে টাইট বোলিং করছিলেন জানসেন। পরপর উইকেট খুইয়ে যখন ধুঁকছিল দল, সেই সময় মাঠে আসেন হার্দিক। আর তারপর ‘পান্ডিয়া’ ম্যাজিক দেখে কটকের বরাবাটি স্টেডিয়াম। পান্ডিয়ার ১০০তম টি২০ ছক্কার সঙ্গেই আসে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি।
কটকের ২২ গজে এমন বিরাট ব্যবধানে জয় প্রমাণ করে, টি২০ বিশ্বকাপের আগে দারুণ ছন্দে রয়েছেন ভারতের ব্যাটার বা বোলাররা। আর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ ঘোরে তুলতে যে মরিয়া গুরু গম্ভীর, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।