রাঁচি: ওয়ান ডে সিরিজে নিউজিল্য়ান্ডকে ক্লিন সুইপ করেছে ভারত। এ বার পালা টি-টোয়েন্টির। এই ফরম্যাটেও তিন ম্যাচের সিরিজ। দু-দলই নামছে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন মিচেল স্যান্টনার। ভারতের নেতা হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর কাছে নেতৃত্ব নতুন নয়। এর আগে আয়ার্ল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সফরে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। এ বছর এখনও অবধি সব সিরিজই জিতেছে ভারত। হার্দিকের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ের লক্ষ্যে নামবে ভারতীয় দল। নজর থাকবে এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের উপর। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এ বছরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে ওপেনার শুভমন গিলের। ওয়ান ডে ফরম্য়াটে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। কেরিয়ারের প্রথম দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চাপ ফেলতে পারেননি শুভমন। তৃতীয় ম্যাচে অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্য়াচের ওয়ান ডে সিরিজে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে একটি দ্বিশতরানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতেও তিনিই ওপেন করবেন, নিশ্চিত করে দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওপেনিংয়ে শুভমনের সঙ্গী হবেন ঈশান কিষাণ। দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে পৃথ্বী শ-র। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে রয়েছেন। তবে জাতীয় দলে একাদশে সুযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হবে পৃথ্বীকে। ২০১৮ সালে পৃথ্বীর নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। একই দলে ছিলেন শুভমনও। সিনিয়র দলে পৃথ্বী সে ভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। চোটও ভুগিয়েছে। শুভমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখন তিন ফরম্যাটেই জায়গা পাকা করেছেন। ‘ক্যাপ্টেন’ এর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন শুভমন।
শুভমন-ঈশানের পর তিনে সুযোগ পেতে পারেন রাহুল ত্রিপাঠী। চারে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। পাঁচে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। বোলিং আক্রমণে দুটি জায়গা নিয়ে ধোঁয়াশা। কুলদীপ যাদব নাকি যুজবেন্দ্র চাহাল। জুটিতে খেলানোর সম্ভাবনা কম। পেস বোলিংয়ে উমরানের মালিকের সঙ্গে জুটি বাঁধার সম্ভাবনা বেশি অর্শদীপ সিংয়ের। এ ছাড়াও থাকছেন শিবম মাভি। বেশ কয়েক মাস ধরেই সাদা বলের স্কোয়াডে নিয়মিত থাকছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তাঁকে খেলানো হবে কী না, তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে জায়গা ছাড়তে হবে শিবম মাভিকে।