কেপটাউন: ফের একটা বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে হারের যন্ত্রণা। মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে (Women’s T20 World Cup Semifinal) হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে হরমনপ্রীত কৌরদের (Harmanpreet Kaur)। এর থেকে যন্ত্রণার আর কী হতে পারে? অর্ধশতরান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন হ্যারি। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্যজনক আউট ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়ার দিকে। একটা রান আউটের মাশুল গুণতে হল সেমিফাইনাল হেরে। আরও একটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার স্বপ্ন চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে লহমায়। মেয়েদের হারে দেশবাসীর চোখে জল। অধিনায়ক হরমনপ্রীতও সেটা জানেন। তাই নিজের চোখের জল আর দেশের মানুষকে দেখাতে চান না। পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে রোদচশমা পরে এসেছিলেন হরমন। কারণ জিজ্ঞাসা করতেই বলে দিলেন, “চাই না দেশের মানুষ আমাকে কাঁদতে দেখুক।” বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
সেমিফাইনালে হারের পর হরমনপ্রীতকে দেখা যায় অঞ্জুম চোপড়াকে আলিঙ্গন করে কাঁদছেন। ক্যাপ্টেনকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন অঞ্জুম। জয়ের খুব কাছে এসেও ফিরে যেতে হলে কান্নায় ভেঙে পড়াটা স্বাভাবিক। হরমনপ্রীত বললেন, “আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে আমরা উন্নতি করব এবং এভাবে আর দেশবাসীর মাথা হেঁট হতে দেব না।” ৫২ রান করে নিজের আউটকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন হরমন। তাঁর কথায়, “এর থেকে বেশি নিজেকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে হয়নি। জেমির সঙ্গে মিলে আমরা জয়ের দিকে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু এমন জায়গায় এসে হারলাম যা প্রত্যাশা করিনি। কেন?” আউটের পর দেখা যায় রাগের বশে ব্যাট আছাড় মারছেন হরমনপ্রীত। বোঝাই যাচ্ছিল কতটা হতাশ তিনি।
হরমনপ্রীত আরও বলছেন, ‘আমি যে ভাবে রান আউট হলাম, এর চেয়ে দুর্ভাগ্য়জনক কিছু হয় না। চেষ্টা করাটা খুবই জরুরি ছিল। শেষ বল অবধি আমরা লড়াই করেছি। ওরা টসে জিতে ব্য়াটিং নিলেও হতাশ হইনি। রান তাড়া করার জন্য় প্রস্তুত ছিলাম। দুটো উইকেট হারানোর পরও আমরা কিন্তু ইতিবাচক ব্য়াটিং করেছি। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছিলাম। ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল হয়েছে। আর কীই বা বলতে পারি! এখান থেকে শিক্ষা নেব।’