
কলকাতা: সবে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় দলে। শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে তিনি। খেলেছেন মাত্র ২১টা টেস্ট। তাঁর নামের পাশে ১৯৯০ রান। গড় ৫৩। সবচেয়ে বড় কথা হল, দেশের মাটিতে যেমন, বিদেশের মাঠেও তেমনই সফল। এমন ছন্দে থাকা ওপেনার যে ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ, তাতে আর সন্দেহ কী! ভারতের বিশেষজ্ঞ মহল কিন্তু এই যশস্বী জয়সওয়ালকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলছেন, এ ছেলে অনেক দূর যাবে। এক প্রাক্তন তো বলেই দিয়েছেন, যশস্বীর খেলার সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতেরই এক কিংবদন্তি ওপেনারের। তিনি কে?
অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান ছিল যশস্বীর। ইংল্যান্ড সফরের শুরুতেও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। যা দেখে হেমঙ্গ বাদানির মতো প্রাক্তন বলে দিয়েছেন, যশস্বীর খেলায় বীরেন্দ্র শেওবাগের ছোঁয়া আছে। বীরুর মতো একই রকম আগ্রাসন, কাট শট দেখতে পাচ্ছেন বাদানি। তিনি বলেছেন, ‘যশস্বী ওর খেলায় কোনও বদল আনেনি। অনেকেই বলেছিল ওকে সময় দেওয়া দরকার। ওর খেলা দেখতে দেখতে কিন্তু বীরুকে মনে পড়ে যায়। যশস্বী বাঁ হাতি ওপেনার, বীরু ডানহাতি ওপেনার। বীরুর মতোই কাটশট চমৎকার খেলে। অফসাইডেও দারুণ।’
একই সঙ্গে বাদানি বলছেন, ‘এখনকার ক্রিকেটে যশস্বী কিংবা পন্থের মতো ক্রিকেটার দরকার। তাতে অন্য ব্যাটাররা সময় পেয়ে যায়। অনেক সময় মনে হতে পারে, ভালো ব্যাট করা সত্ত্বেও যশস্বী আউট হয়ে গেল। কিন্তু এটা ওর শট। এই একই শটে ও কিন্তু প্রচুর রান করে। এই ইনিংসেও ৪-৫টা চার মেরেছে একই শটে। এই কারণেই ও ব্যাটিং স্টাইল বদলাক, আমি চাই না। এমনই খেলে যাক। যদি শট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আর একটু উন্নতি করে, তা হলে আরও ভালো। তবে টেম্পারমেন্ট বদলাক, তা চাই না।’