Ranji Trophy: ‘মন্ত্রীর’ শতরানে চাপে মন্ত্রীর দল
তরুণ ক্রিকেটার অক্ষত রঘুবংশীর সঙ্গে মাত্র ১৫০ বলে ১২৩ রানের জুটি হিমাংশু মন্ত্রীর।
বেঙ্গালুরু : বাংলা দলেও মন্ত্রী রয়েছেন। অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। মন্ত্রীর দলের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে প্রথম শতরান হিমাংশু মন্ত্রীর (Himanshu Mantri)। দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যাট করলেন মন্ত্রী। অক্ষত রঘুবংশীর সঙ্গে ১২৩ রানের জুটিতে বাংলার (Bengal) চাপ বাড়ালেন হিমাংশু। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে (Semifinal) মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধ খেলছে বাংলা। টসে জিতে ব্যাটিং নেয় মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। প্রথম সেশন বাংলার বোলারদের। দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় মধ্যপ্রদেশ। শেষ সেশনে দ্বিতীয় নতুন বলে উইকেট নিলেও বাংলার চিন্তা হিমাংশু মন্ত্রীই। বাংলার একাদশে পরিবর্তন প্রত্যাশিত ছিল। ঈশান পোড়েলের পরিবর্তে একাদশে প্রদীপ্ত প্রামাণিক। একাদশে জোড়া স্পিনার খেলানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলার। কিন্তু দুই বাঁ হাতি স্পিনারকে খেলানোর সিদ্ধান্ত অবাক করার মতোই। আধঘণ্টা সময় বাড়িয়েও ৯০ ওভার খেলা করা যায়নি। প্রথম দিনের শেষে ৮৬ ওভারে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ২৭১-৬। হিমাংশু ক্রিজে রয়েছেন ১৩৪ রানে।
বাংলার শুরুটা অনবদ্য হয়। পেসারদের দাপটে প্রথম ১৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান করে মধ্যপ্রদেশ। ১ উইকেটও হারায়। মুকেশ কুমারের ভেতরে আসা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর হন যশ দুবে। প্রথম সেশনে ৩৩ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট বাংলার। স্পেলের প্রথম বলেই উইকেট নেন বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক। মরসুমের প্রথম ম্যাচ, প্রথম বলেই উইকেট। শুভম শর্মা (১৭) প্রত্যাশা করেছিলেন বল সোজা হবে। সামান্য টার্নেই উইকেট ছিটকে গেল। দু-দিক থেকেই বাঁ হাতি স্পিনার বোলিং করছিলেন। শাহবাজের পরিবর্তে মুকেশ কুমারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। রজত পাতিদারের মূল্যবাণ উইকেট নিল বাংলা। নতুন স্পেলের দ্বিতীয় ডেলিভারি। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে। ড্রাইভ করার চেষ্টায় প্রথম স্লিপে মনোজ তিওয়ারির হাতে ক্যাম। লাঞ্চ বিরতির আগে রজত পাতিদারের উইকেট বাংলাকে স্বস্তি দেয়।
লাঞ্চ বিরতির পর একবার প্লেড অন হওয়া থেকে বাঁচেন মধ্যপ্রদেশ অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব। নতুন স্পেলের প্রথম ওভারেই তাঁকে ফেরান শাহবাজ আহমেদ। কাট মারার চেষ্টায় প্লেড অন আদিত্য (১০)। এরপরই বাংলা ব্যাকফুটে। তরুণ ক্রিকেটার অক্ষত রঘুবংশীর সঙ্গে মাত্র ১৫০ বলে ১২৩ রানের জুটি। দ্রুত রান তোলেন অক্ষত। ৮১ বলে ৬৩ রানে ফেরেন তিনি। ৮টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি মারেন অক্ষত। দিনের শেষ দিকে পুনিত দাতেকে সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং হিমাংশুর। বাংলার বোলারদের মধ্যে মুকেশ কুমার ও আকাশদীপ দুটি করে উইকেট নেন। প্রদীপ্ত-শাহবাজ নেন একটি করে উইকেট।