ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পান। জিম্বাবোয়ে সফরে প্রথম ম্যাচে ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করেন অভিষেক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে ৪ বল খেলে শূন্য রানেই ফেরেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার জন্য আদৌ প্রস্তুত তো অভিষেক? তাঁর মেন্টর যুবরাজ সিং খুশি হয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে শূন্যে আউট হওয়ায়। এ কথা জানিয়েছিলেন অভিষেকই। যুবরাজ তাঁকে বলেছিলেন, দারুণ শুরু। যুবরাজ কোন মনোভাব থেকে বলেছিলেন, এটা যেন আন্দাজ করা যায়। শুরুর ধাক্কা অনেক সময় জরুরি হয়ে পড়ে। সেই অভিষেক শর্মাই কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকান। ভারতীয় টিমের ক্ষেত্রেও কি এই কথা প্রযোজ্য?
অভিষেকই শুধু নন, সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিল ব্যাটিং আক্রমণই। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই হয়তো সমস্যায় পড়েন। হার দিয়ে সিরিজ শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম ম্যাচেই হার। শুভমন গিল এবং টিমের পক্ষেও যেন শাপে বর হয়েছিল। একটা ধাক্কা দলকে যেন সতর্কবার্তা দিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। এক ম্যাচে ১০০ রানের ব্যবধানে জয়। চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ১০ উইকেটে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড। এই সিরিজে প্রাপ্তি অনেক।
সিরিজ জিতে ক্যাপ্টেন শুভমন গিলও সোজা ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন কোন মন্ত্রে জয়। শুভমনের কথায়, ‘আমার মতে দুর্দান্ত সিরিজ। প্রথম ম্যাচে হারের পরও দলের সকলেই যে তাগিদ, খিদে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দুর্দান্ত। এখানে আসার পর খুব বেশি প্র্যাক্টিস করার সুযোগ পাইনি। এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গেও সেই অর্থে পরিচিতি ছিল না। তবে সকলেই এত দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে, তা অসাধারণ।’