করাচি : ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে এখন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। একটা সময় তাঁর একের পর এক সাফল্য নিয়ে আলোচনা হত। এখন হয় উলটো। বিরাট কোহলিকে বাদ দেওয়া উচিত, কোহলির টেকনিকে সমস্যা, মানসিক ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়েই। ৭০ টি আন্তর্জাতিক শতরান করেছেন বিরাট কোহলি। যদিও তাঁর শেষ শতরান এসেছে প্রায় বছর তিনেক আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে দিন রাতের টেস্টে এই শতরান করেছিলেন। এরপর থেকে বেশ কিছু অর্ধশতরানের ইনিংস থাকলেও বিরাট কোহলি চূড়ান্ত ‘ব্যর্থ’। সম্প্রতি ভারতের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও (Kapil Dev) মন্তব্য করেছিলেন, বিরাটকে দল থেকে বাদ দেওয়া উচিত। তাঁর আরও যুক্তি ছিল, যদি রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দেওয়া যায়, বিরাটকে কেন নয়! বিরাট কোহলিকে নিয়ে নানা সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার কামরান আকমল (Kamran Akmal)।
একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেট রক্ষক ব্যাটার কামরান বলছেন, ‘সবদিক থেকেই বিরাট কোহলি আলাদা ক্রিকেটার। প্রত্যেকের কেরিয়ারেই এমন একটা খারাপ সময় আসে। কিছু প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে সময়টা হয়তো কম লাগে। অনেকের ক্ষেত্রে সময় অনেক বেশি প্রয়োজন। ওর একটা বড় ইনিংস চাই শুধু। ক্রিকেটের প্রতি ওর আবেগ, বিশ্বাস, সকলের চেয়ে ওকে আলাদা করেছে। ওকে ওর মতোই থাকতে দেওয়া হোক। যে ক্রিকেটার ৭০টি শতরান করেছেন, কি মনে হয়, সে যার তার কথা শুনবে? ওর এই খারাপ সময়ে এমন অনেকেও জ্ঞান দিচ্ছে, যারা হয়তো মাত্র ১-২ দুটি ম্যাচ খেলেছে। কী আর বলব। এসব দেখে হাসি পায়।’ বিরাট সম্পর্কে আকমল আরও যোগ করলেন, ‘ফুটওয়ার্ক, ব্যাট সুইং, হেড পজিশন, কাঁধ… শট খেলতে সবকিছু গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা প্লেয়ার নিজে থেকেই সেই জিনিসগুলো বুঝতে পারে। নিজেকে শুধু ইতিবাচক রাখতে হবে। অতীতে কী কী ভালো করেছি, সে সব নিয়ে ভাবতে হবে। বাইরে থেকে অনেক মন্তব্যই আসবে। নিজের ফোকাস হারালে চলবে না। একজন প্লেয়ারই তার কোচ।’
যুক্তরাজ্য সফর শেষে ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং পাঁচ ম্যাচের টি ২০ সিরিজ খেলবে ভারত। পুরো সফর থেকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলিকে। তাঁকে হয়তো একেবারে এশিয়া কাপে খেলতে দেখা যেতে পারে। তার আগে ভারতীয় দলের জিম্বাবোয়ে সফর রয়েছে। বিরাটকে সেই সফরে রাখা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ফর্ম খুঁজে পেতে জিম্বাবোয়ে সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। জিম্বাবোয় সফরে ফিরলে, বিরাটের বিশ্রামের সময়সীমা অবশ্য কমছে। যেটুকু বিরতি পাচ্ছেন, বিরাচ হয়তো নিজেকে নতুন রূপে খুঁজে পেলেও পেতে পারেন।