নয়াদিল্লি: টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র তারকা ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)সব সময় ফুরফুরে মেজাজে থাকেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দল থেকে দূরে রয়েছেন। আসন্ন আইপিএলে (IPL) তাঁকে দেখা যাবে পঞ্জাব কিংসকে নেতৃত্ব দিতে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে বর্তমানে ঝড় বয়ে চলেছে। বাঙালি স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ধাওয়ানের ডিভোর্সের মামলা চলছে। সদ্য নিজের বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলেছেন শিখর। জানান, বিয়ে করে তিনি ভুল করেছেন। গব্বর জানান, আয়েশার সঙ্গে বিয়েটা তাঁর জন্য একটা বাউন্সার ছিল। একইসঙ্গে শিখর জানান, দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলে প্রথম বারের বিয়ে থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনসঙ্গী বাছবেন তিনি। কখনও ২২ গজে দারুণ পারফর্ম করে কিংবা কখনও দল থেকে বাদ পড়ে, আবার কখনও না স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য খবরের শিরোনামে এসেছেন ধাওয়ান। এ বার তিনি ফের খবরের শিরোনামে। কৈশোরে তাঁকে HIV পরীক্ষা করাতে হয়েছিল। ৩৭ এর ধাওয়ানের স্বীকারোক্তিতে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। কেন কৈশোরেই এইডস পরীক্ষা করিয়েছিলেন শিখর? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
শিখর ধাওয়ান আসলে ট্যাটু প্রেমী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিশোর বয়সের এক ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ধাওয়ান জানিয়েছেন, মাত্র ১৪-১৫ বছর বয়সেই তাঁকে করাতে হয়েছে এইচআইভি পরীক্ষা (HIV Test)। ধাওয়ান বলেন, “আমার তখন ১৪-১৫ বছর বয়স ছিল। মানালিতে গিয়ে আমি পিঠে একটা ট্যাটু করিয়েছিলাম। কিন্তু ট্যাটুর ব্যাপারে আমার পরিবারের লোকজন জানত না। প্রায় তিন-চার মাস এই ঘটনার কথাটা আমি বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম। তবে বাবা জানতে পারার পর আমাকে খুব মেরেছিল।”
ট্যাটু করানোর পর শিখর নিজেও বেশ ভয় পেয়েছিলেন। যার ফলে, তিনি ওই বয়সেই এইডস টেস্ট করিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, “আমি ট্যাটু করে খানিকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার জানা ছিল না যে, শরীরে ঠিক কতগুলো সুচ ফোটানো হয়েছিল। ভয় থেকেই আমি তারপর গিয়ে এইচআইভি পরীক্ষা করাই। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। আমার প্রথম ট্যাটুটি মানালিতেই করানো। সে বার বিছের ট্যাটু করেছিলাম। আমার ভাবনায় ওই ট্যাটুটাই ছিল। তারপর ওই বিছের ট্যাটুর ওপর আরও ডিজাইন করিয়েছি। আমার হাতে একটা মহাদেবেরও ট্যাটু রয়েছে। অর্জুনের ট্যাটুও রয়েছে। কারণ উনি আমাদের সেরা তিরন্দাজ ছিলেন।”