Md Siraj: ব্রুকের ক্যাচ ফেলে ভিলেন, একটা ছবি ‘ডাউনলোড’ করে নায়ক সিরাজই!

IND vs ENG Test Series: গ্যালারির আদর পেলেন। ভিলেন থেকে নায়কে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেন। টেস্ট ক্রিকেটের এই এক আশ্চর্য পালাবদল। না হলে ৬ রানে জয় আসে! হারতে হারতে সিরিজটা ড্র করে দিলেন হায়দরাবাদের ছেলে মহম্মদ সিরাজই।

Md Siraj: ব্রুকের ক্যাচ ফেলে ভিলেন, একটা ছবি ডাউনলোড করে নায়ক সিরাজই!
Image Credit source: PTI

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Aug 04, 2025 | 5:06 PM

কলকাতা: ওই ক্যাচ থেকে যেতে পারত চিরকালীন স্মৃতিতে। ক্রিকেটের এই এক আশ্চর্য পালাবদল। যিনি ক্যাচ ধরে ভিলেন হয়ে গিয়েছিলেন, রাতারাতি সেই তিনিই মহানায়ক। যাঁর ভুলে ভারত ওভালের মাটিতে টেস্টটা হেরেই যাচ্ছিল, সঙ্গে সিরিজও, সেই তিনিই কিনা ৫ উইকেট নিয়ে আস্ফালন করলেন। গ্যালারির আদর পেলেন। ভিলেন থেকে নায়কে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেন। টেস্ট ক্রিকেটের এই এক আশ্চর্য পালাবদল। না হলে ৬ রানে জয় আসে! হারতে হারতে সিরিজটা ড্র করে দিলেন হায়দরাবাদের ছেলে মহম্মদ সিরাজই।

হার দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে টেস্ট জয়। সিরিজ ১-১ করে ফেলা। সেখান থেকে আবার লর্ডসে হার। চতুর্থ টেস্টে হারতে হারতে ড্র। শেষমেষ ওভালে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ৬ রানে টেস্ট জয়। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার অবসরের পর অনেকেই ভারতীয় টিমের অবনমন দেখতে পেয়েছিলেন। মাত্র একটা সিরিজেই সব কিছু পাল্টে দিল শুভমন গিলের টিম। ব্যাটারদের ব্যাটে ভরপুর রান, অবিশ্বাস্য লড়াই আর জসপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে সিরাজের পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দেওয়া। ভরপুর মশলায় ওভালের টেস্ট যেন হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। স্পাইসি, কিন্তু স্বাদে ভরপুর।

৩৫ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। আর ভারতের সাড়ে তিনটে উইকেট। ওভালের সকালে চমকে দিলেন সিরাজ। গতকাল তাঁর ঝুলিতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। তিনটে উইকেট নিয়ে ইংলিশ টিমের লেজ মুড়িয়ে দিলেন। ম্যাচ জেতানোর পর সিরাজ কী বললেন? ভারতীয় পেসারের কথা উঠে এসেছে গতকাল হ্যারি ব্রুকের বিতর্কিত ক্যাচ। সিরাজ বলেছেন, ‘আমি ক্যাচটা যখন ধরেছিলাম, তখন রোপ ছুঁইনি। ওটাই ম্যাচটা পাল্টে দিচ্ছিল। ব্রুক টি-টোয়েন্টি মোডে ব্যাটিং শুরু করে দেয়। ম্যাচটাতে পিছিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’

পঞ্চম দিন সকালে কী পরিকল্পনা ছিল সিরাজের? ‘উইকেট পাই আর না পাই, রান দিই আর নাই দিই, একটাই লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম মাঠে, ঠিক জায়গায় রাখব বলটা। যাতে পাল্টা চাপ তৈরি করা যায়। আমি সব সময় নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি, যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচ জেতাতে পারি। সেটাই করে দেখালাম।’ একই সঙ্গে সিরাজ বলেছেন, ‘পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিন থেকে আমরা লড়াই করেছি। শেষ পর্যন্ত সেটা চালিয়ে গিয়েছি। এখান থেকে যা পেয়েছি, সবটা বোনাস। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠেছিলাম, মনে হয়েছিল, আমি করে দেখাতে পারব। ‘আত্মবিশ্বাস’এর একটা গুগল থেকে ডাউনলোড করেছিলাম।’

শুধু করে দেখালেনই না, সিরাজ এবং তাঁদের নতুন ভারত এক নতুন ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন। বিরাট-রোহিতরা বিদেশের মাটিতে ভারতকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। সেই কাজটাই আরও এগিয়ে নিয়ে গেলেন শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়ালরা। বিলেতের মাটিতে এই পাঁচ টেস্টের সিরিজে ২-২ ড্র মাইলফলক হয়ে থাকবে গৌতম গম্ভীরের ভারতের জন্য। একটা নতুন প্রজন্ম পেয়ে ভারতীয় ক্রিকেট। আবার এভারেস্টের মাথায় ওঠার জন্য।