Jemimah Rodrigues : এখনও ট্রমা কাটেনি…কী ঘটেছিল হাসি-খুশি জেমাইমার সঙ্গে?

TeamIndia : আরও যোগ করলেন, 'যত বেশি এই ঘটনা থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেছি, আরও যেন পরিস্থিতি কঠিন হয়েছে। কেন না, ও আমার খুব কাছের ছিল। খুব প্রিয় একজন।'

Jemimah Rodrigues : এখনও ট্রমা কাটেনি...কী ঘটেছিল হাসি-খুশি জেমাইমার সঙ্গে?
Image Credit source: TWITTER, SCREENGRAB
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2023 | 7:30 AM

কলকাতা : জেমাইমা সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে বলা যায়- সব সময় জমিয়ে রাখেন। ক্রিকেট মাঠেই হোক কিংবা বাইরে, জেমাইমা রকস্টার। উদ্বোধনী উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও দেখা গিয়েছে তাঁর ডান্সমুভ। কখনও বা গরমে কাহিল সমর্থকদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে ঠান্ডা পানীয়। চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং। তেমনই ধারাভাষ্যকাররা টেকনিক্যাল কোনও প্রশ্ন করলে অবলীলায় বলে দিচ্ছেন। খেলা চলাকালীন ‘অন মাইক’-এ পিচ কেমন আচরণ করছে, টিম কোন পরিকল্পনায় এগচ্ছে, তাঁর কথাতেই বোঝা যায় ম্যাচ রিডিং কতটা ভালো। আর মাঠের বাইরে! সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মজার ভিডিয়ো, কখনও বা গিটার হাতে গানে মাতিয়ে রাখছেন। সতীর্থদের সঙ্গে মজা করছেন। কে জানতো, যে সতীর্থদের প্রতিটা মুহূর্ত জমিয়ে রাখেন, তাঁর মনে জমে আছে নানা কথা! ভয়াবহ একটা স্মৃতি। যা থেকে এখনও বেরোতে পারেন না জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। একটি ইউটিউব শো-য়ে সেই ঘটনাই প্রকাশ্যে এনেছেন জেমাইমা। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

প্রত্যেকের জীবনেই অতীত থাকে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে কেউ বা সফল হন। কিছু অতীত যেন সবসময়ই বর্তমান। জেমাইমার জীবনেও তেমন একটি ঘটনা রয়েছে। যা এখনও তাঁকে তাড়া করে বেরায়। অনেক চেষ্টা করেও ভুলতে পারেননি সেই ঘটনা। ভিড়ের মধ্যেও ভয়ে কুঁকড়ে থেকেছেন। ‘ব্রেকফাস্ট উইথ চ্য়াম্পিয়ন’ চ্য়াম্পিয়নে একটি সাক্ষাৎকারে জেমাইমা অতীতের একটি দুর্ঘটনা তুলে ধরেছেন। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলে। জেমাইমার বয়স তখন সবে ছয়। তাঁর তুতো বোন কাজিয়ার বয়স মাত্র ৪ বছর। সুইমিং পুলে ডুবে মৃত্যু হয় কাজিয়ার। এমন একটি দৃশ্য ভোলা কার্যত অসম্ভব। সে সময় স্কুলে ক্লাসরুমে ৩০ জনের মাঝে বসে থাকতেও ভয় তাড়া করত।

সেই ট্রমা থেকে আদৌ কি বেরোতে পেরেছেন? জেমাইমা বলছেন, ‘ওই ঘটনা আমার মধ্যে একটা বিশাল পরিবর্তন এনেছিল। সারাক্ষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। খুব ভয়ঙ্কর কেটেছে সেই দিনগুলি। এখনও মনে আছে, মায়ের কাছ-ছাড়া হতে পারতাম না। ক্লাসে ৩০ জনের সঙ্গে বসেও আতঙ্ক তাড়া করত। সারাক্ষণ মাকে চাইতাম। কাঁদতাম, মায়ের ওপর রাগ দেখাতাম। কিছুক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি পর্যায়েও চলে যেত। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য়ে কাটাচ্ছিলাম, বুঝে উঠতে পারতাম না এখান থেকে কীভাবে স্বাভাবিক হব।’ আরও যোগ করলেন, ‘যত বেশি এই ঘটনা থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেছি, আরও যেন পরিস্থিতি কঠিন হয়েছে। কেন না, ও আমার খুব কাছের ছিল। খুব প্রিয় একজন।’