Champions Trophy 2025: ২০২৫ সালে ভারতের পাক সফর চ্যালেঞ্জের, মানছে আইসিসি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 23, 2021 | 9:38 AM

আইসিসি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিসন্স ট্রফি আয়োজন করার ভার দিয়েছে পিসিবির উপর। তারপর থেকেই প্রশ্ন, ভারত কি খেলতে যাবে ইমরান খানের দেশে?

Champions Trophy 2025: ২০২৫ সালে ভারতের পাক সফর চ্যালেঞ্জের, মানছে আইসিসি
২০২৫ সালে ভারতের পাক সফর চ্যালেঞ্জের, মানছে আইসিসি (ছবি-টুইটার)

Follow Us

দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) না জিততে পারলেও বিশ্ব ক্রিকেটে উত্থান শুরু হয়েছে বাবর আজমদের। পাকিস্তানও (Pakistan) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। আচমকা সফর বাতিল করা নিউজিল্যান্ড ফের পাক সফরে যাবে। ইংল্যান্ডও রাজি। অস্ট্রেলিয়াকেও খুব শিগগিরি দেখা যাবে ওই দেশে। আইসিসিও সন্তুষ্ট পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে। নিরাপত্তা এবং যাবতীয় বন্দোবস্ত নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন নেই ওয়াঘার ওপারে। আর তাই আইসিসি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিসন্স ট্রফি আয়োজন করার ভার দিয়েছে পিসিবির উপর। তারপর থেকেই প্রশ্ন, ভারত কি খেলতে যাবে ইমরান খানের দেশে?

তিন বছর পর ভারতের (India) পাক সফর নিয়ে রাজনৈতিক জটিলতা যে তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত আইসিসি। আর সেই চ্যালেঞ্জ মেটানোর জন্য তারা তৈরি। চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে (Greg Barclay) যা নিয়ে বলছেনও, ‘আমরা খুব ভালো করে জানি যে, এই ব্যাপারটা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। আমরা রাজনৈতিক ব্যাপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। এ টুকু আশা করতে পারি, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার একটা মাধ্যম হতে পারে ক্রিকেট। আর সেটা যদি হয়, তার থেকে ভালো আর কী হতে পারে!’

অতিরিক্ত ক্রিকেটের বোঝা কমাতে এখন সব ক্রিকেট বোর্ডই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট চালু করেছে। যার অর্থ হল, গুরুত্ব অনুযায়ী সেরা ক্রিকেটারদের খেলানো। ভারত-নিউজিল্যান্ডের চলতি সিরিজ তার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। এ নিয়ে সচেতনতা যত বাড়ছে, ততই প্রশ্ন উঠছে, প্রতি বছরের আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোই যদি লক্ষ্য হয় ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোর, তা হলে কি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ গুরুত্ব হারাবে?

আইসিসির (ICC) সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস যা মানছেন না। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘আমার মনে হয় না দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মজা নষ্ট হয়ে যাবে। বায়ো বাবলে একটা ইস্যু হতে পারে। আর তার জন্য রোটেশন পলিসি চালু হতে পারে। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আকর্ষণ কমে যাবে। ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজে কিন্তু আকর্ষণ একটু কমেনি।’

একই সঙ্গে অলিম্পিকে ক্রিকেটের সংযুক্তিকরণ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। আইসিসি সিইওর কথায়, ‘শুধু টি-টোয়েন্টি নয় আমরা ক্রিকেটের তিনটে ফর্ম্যাটেই গুরুত্ব দিচ্ছি। এটা ঠিক যে কিছু দেশ টি-টোয়েন্টিতেই বেশি ফোকাস করছে। তার মানে এই নয় যে, আইসিসিও তাই চাইছে। বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটকে আর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনটে ফর্ম্যাটকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছে আইসিসি।’

Next Article