
গত বছর বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ হিসেবে খেলেছিল আমেরিকা। তাদের একাধিক ক্রিকেটার নজর কেড়েছিলেন। বিশেষ করে বলতে হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৌরভ নেত্রভালকরের কথা। বিশ্বকাপের পর মার্কিন প্লেয়ারদের অনেকেই বিশ্বের নানা ফ্র্য়াঞ্চাইজি লিগে আরও বেশি করে সুযোগ পেতে থাকে। ২০২৮ সালে অলিম্পিক গেমস হবে মার্কিন মুলুকের লস অ্য়াঞ্জেলসে। একশো বছর পর অলিম্পিকে থাকছে ক্রিকেটও। তার আগে শাস্তির খাড়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নির্বাসিত করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা।
ফিফার মতো আইসিসিও স্বশাসিত সংস্থা। প্রতিটি দেশের বোর্ডেও তাই। সরকারি হস্তক্ষেপ হলে সেই বোর্ডকে নির্বাসিত করে আইসিসি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে কিছুটা তাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ড সেই নিয়ম-নীতি কার্যকর করতে ব্যর্থ। আইসিসির তরফে তেমনই জানিয়েছে। যে কারণে আইসিসি তাদের নির্বাসিত করেছে। বারবার আইসিসির দেওয়া নির্দেশিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত।
আইসিসির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘নানা পর্যবেক্ষণের পর আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নির্বাসিত করার। নির্বাসন থাকা কালীন আমেরিকা আইসিসির সদস্য দেশ নয়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।’ সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ড যতক্ষণ না আইসিসির নিয়ম মেনে নির্বাচনের মাধ্য়মে স্বশাসিত বোর্ড গঠন করছে, ততদিন এই নির্বাসন ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। অলিম্পিকের আগে যা মার্কিন ক্রিকেটে বিশাল বড় ধাক্কা। তবে দ্রুত এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও রয়েছে। আইসিসির ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে পারলে নির্বাসন তুলে নেওয়া হতে পারে।