
গুয়াহাটির পর কলম্বো। মেয়েদের প্রথম দুটি ম্যাচে ভারতীয় দল দুই আলাদা ভেনুতে খেলেছে। দুটি পিচই কিছুটা হলেও মন্থর ছিল। বিশেষ করে বলতে হয় কলম্বোর কথা। ম্যাচের আগের দিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। যে কারণে একটি ম্যাচ ভেস্তেও গিয়েছিল। পিচ সংলগ্ন জায়গা কভার দেওয়া ছিল। ভারতের ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকলেও হয়নি। পিচ দীর্ঘ সময় ঢাকা থাকায় ব্যাটাররা সমস্যায় পড়েছিলেন। এ বার ভারত খেলবে বিশাখাপত্তনমে। তৃতীয় ম্যাচে হরমনপ্রীতদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষ হিসেবে খুবই চেনা। গত ম্যাচে দুরন্ত পারফর্ম করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতও টানা দু-ম্যাচ জিতেছে। দুই ছন্দে থাকা দলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের অপেক্ষা।
ভারত দু-ম্যাচ জিতলেও নিখুঁত পারফরম্যান্স হয়েছে বলা যায় না। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের দিক থেকে। ভারতের দুই ওপেনার বিশ্বকাপের আগে থেকে দুরন্ত ছন্দে। প্রতিকা রাওয়াল প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন। যদিও তাঁর শুরুটা ভালোই হয়েছে। সেট হলেও বড় স্কোর আসেনি। একই পরিস্থিতি অভিজ্ঞ ওপেনার তথা ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানার ক্ষেত্রেও। শুরুটা হচ্ছে কিন্তু বড় ইনিংস আসেনি। গত ম্যাচের নিরিখেই যদি বলা যায়, টপ এবং মিডল অর্ডারের সকলেই ৩০টির বেশি ডেলিভারি সামলেছেন। কিন্তু তারপরই উইকেট। শেষ দিকে রিচা ঘোষ ঝোড়ো ইনিংস না খেললে পাকিস্তানকে বড় টার্গেট দেওয়া যেত না।
গত ম্যাচে আরও একটা সমস্যায় ভুগেছে ভারত। বোলিংয়ে বিকল্প। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর বোলিং করছেন না। অরুন্ধতী রেড্ডি ওয়ার্ম আপ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। ফিট হয়ে উঠছেন। আশা করা যায়, আজ প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে তাঁকে। সেক্ষেত্রে ব্যাটিংয়েও গভীরতা বাড়বে। বিশাখাপত্তনমেও বৃষ্টি হয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা পুরোপুরি প্র্যাক্টিসও করার সুযোগ পায়নি। ম্যাচেও বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আবহাওয়া যদি সঙ্গ দেয়, বিশাখাপত্তনমের পিচে ব্যাটারদের রাজত্ব করার সম্ভাবনা। দু-দলের বোলারদের কাছেই যা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।