কেপটাউন: আরও এক বার সামনে অস্ট্রেলিয়া। বদলা হল না। সেই একই ফলের পুনরাবৃত্তি। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে স্নায়ুর চাপ সামলাতে ব্য়র্থ ভারত। তা সেটা ব্য়াটিংয়ে হোক কিংবা বোলিং-ফিল্ডিং। বিশাল রানের লক্ষ্য় তাড়া করতে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারানো। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। তব ম্যাচ প্রিভিউতে যেটা লেখা হয়েছিল, ফ্যাক্টর হতে পারেন হরমনপ্রীত। জেমাইমার সঙ্গে জুটিতে স্বপ্ন দেখান অধিনায়ক। জেমাইমার একটা ভুল ফের চাপে ফেলে। মাত্র ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ফেরেন জেমাইমা। ৪১ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। জেমাইমা ফিরতেই দায়িত্ব পড়ে অধিনায়ক হরমনপ্রীতের উপর। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন রিচা ঘোষ। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচ রিপোর্ট। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বড় ম্যাচের চাপ। ভারতীয় শিবিরে এটাই কাজ করল! সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। মাঠে নামার আগেই সমস্যায় পড়ে ভারত। গুরুতর অসুস্থতায় বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান পূজা বস্ত্রকার। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও অসুস্থ। তিনি অবশ্য মাঠে নামলেন। ভারতের বোলিং-ফিল্ডিং আশানুরূপ হল না। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটির অনবদ্য শুরু। সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে যান বেথ মুনি ও অধিনায়ক মেগ ল্য়ানিং। কেরিয়ারের ১৭তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান করেন বেথ মুনি। রাধা যাদবের বোলিংয়ে বাউন্ডারি লাইনে মুনির ক্যাচ মিস করেছিলেন শেফালি ভার্মা। পর পর দু ওভারে জোড়া ক্যাচ মিস। এগুলো টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল।
ইনিংসের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলে নেয়। ক্য়াচ মিসের পর আরও ২২ রান যোগ করে মুনি ফেরেন। শিখার বোলিংয়ে ক্য়াচ নেন সেই শেফালিই। মেগ ল্যানিং অপরাজিত ৪৯ রান করেন। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর পাওয়া অ্যাশলে গার্ডনার মাত্র ১৮ বলে ৩১ রান করেন। স্লগ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার পাওয়ার হিটিং আটকাতে ব্য়র্থ ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালের মঞ্চে এটি বিশাল স্কোর।
রান তাড়ায় একটা সময় অবধি ভালো ভাবেই ম্যাচে ছিল ভারত। ২০১৯ সালে পুরুষদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতোই একটা দুর্ঘটনা। সে দিন রান আউট হয়েছিলেন ৭ নম্বর জার্সির মহেন্দ্র সিং ধোনি। এ দিন ৭ নম্বর জার্সির হরমনপ্রীত ক্রিজে ঢোকার মুখে ব্য়াট আটকে যায়, রান আউট হয়ে ফেরেন। সেখানেই যেন ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় ভারত। ভরসা ছিল দীপ্তি-রিচা জুটি। এই জুটি দীর্ঘ হয়নি। রিচার আউটে হতাশা বাড়ে। দীপ্তির সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন স্নেহ রানা। কিন্তু আশা জাগিয়েও শেষ রক্ষা হল না। মাত্র ৫ রানে হার। তীরে এসে তরী ডুবল।