কেপটাউন: প্রথম বার দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ চমকে দিয়েছে। প্রথম বার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রবল চাপে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে পারেননি অধিনায় ডেন ভ্য়ান নিকার্ক। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে নামা, শুরুতেই ব্য়াকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেখান থেকে ফাইনাল। তাও আবার সেমিফাইনালে ইংল্য়ান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারানো। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জ্য়াভলিন থ্রোয়ার। বুঝতে সমস্য়া হচ্ছে? তিনি তাসমিন ব্রিৎজ। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ অ্যাথলেটিক্স চ্য়াম্পিয়নশিপে ১৬ বছর বয়সে জ্য়াভলিনে সোনা জিতেছিলেন তাসমিন ব্রিৎজ। ২০১২ অলিম্পিকে নামার কথা কথা ছিল তাঁর। একটা দুর্ঘটনা অলিম্পিকের স্বপ্ন থাক্কা খায়। গাড়ি দুর্ঘটনায় পেলভিসের হাড় ভাঙে তাসমিনের। জ্য়াভলিন ছেড়ে বেছে নেন ক্রিকেটকে। তাঁর অনবদ্য় পারফরম্য়ান্সেই প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দল। ব্য়াট হাতে মাত্র ৫৫ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ফিল্ডিংয়ে রেকর্ড ৪টি ক্য়াচ। এর মধ্য়ে একটি ক্য়াচ নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। টসে জিতে প্রথমে ব্য়াটিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্য়ান্ডকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য় দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইংল্য়ান্ডের ব্য়াটিং লাইন আপ অনেকটাই শক্তিশালী। সেমিফাইনাল অবধি অপরাজিত ছিল তারা। শুধু শক্তিশালীই নয়,ব্য়াটিং গভীরতাও অনেক বেশি ইংল্য়ান্ডের। তাদের কাছে ১৬৫ রানের লক্ষ্য় খুব কঠিন ছিল না। শেষ অবধি এটাই বিশাল মনে হল। পেসার শাবনিম ইসমাইলের বোলিংয়ে মিড উইকেট ফিল্ডারের উপর দিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সোফিয়া ডাঙ্কলি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অনবদ্য় ক্য়াচ নেন তাসমিন। সতীর্থরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। এই ক্য়াচের সৌজন্য়েই ৫৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্য়ান্ড। ম্য়াচ ক্রমশ কঠিন হতে থাকে তাদের জন্য়। শেষ অবধি ৬ রানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চারটি ক্য়াচ এবং অনবদ্য় ৬৮ রানের ইনিংসে ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জেতেন তাসমিন।