বেঙ্গালুরু: তেইশের বিশ্বকাপে নানা চমক দেখা গিয়েছে। তেমনই ঐতিহাসিক ঘটনাও ঘটেছে। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে আলোচনায় ছিল সেটিই। টাইমড আউট। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে আধডজন বার টাইমড আউটের ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই বিশ্বকাপেই প্রথম সেটা দেখা গেল। শ্রীলঙ্কা ইনিংসের ২৫তম ওভারে আউট হন সাদিরা সমরবিক্রম। ক্রিজে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। যদিও স্ট্রাইক নেওয়ার আগে দেকেন হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছেঁড়া। হেলমেট পরিবর্তনের মাঝেই আম্পায়ারকে আবেদন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আম্পায়ার টাইমড আউট দেন ম্যাথিউসকে। এই নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। সাকিব আল হাসানের স্পোর্টসম্যান স্পিরিট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাকিবের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডও। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও এই প্রশ্ন করা হয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইমড আউটের ঘটনা হয়তো দেখা যেত ২০০৭ সালেই। কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে এমন পরিস্থিতিতে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নন স্ট্রাইকারে তখন রাহুল দ্রাবিড়ই। বর্তমান ভারতীয় দলের হেড কোচ দ্রাবিড়ের সামনেই হয়তো সেই ঘটনা ঘটতে পারত। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ কোনও আবেদন না করায় টাইমড আউট হননি সৌরভ।
সাকিব-ম্যাথিউস ঘটনা প্রসঙ্গে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা হয়। আমরা ব্যতিক্রমী প্রাণী। প্রত্যেকের ভিন্ন মত থাকে। ঠিক-ভুল বলে কিছু নেই। এই পার্থক্যগুলো থাকাও অপ্রাসঙ্গিত নয়। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এমন অনেক কিছুই করতে হয়। সুতরাং এটা নিয়ে অভিযোগ করার জায়গা নেই। ও তো নিয়ম অনুসরণ করেছে। আপনি নিজে এমন নাই করতে পারেন। তবে নিয়মে থাকা কোনও বিষয় নিয়ে কাউকে দোষ দেওয়াও ঠিক নয়।’