নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপ আসে, বিশ্বকাপ যায়। পরিস্থিতি বদলায় না পাকিস্তানের। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এ বারের বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে হার। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে অষ্টম সাক্ষাৎ। আট বারই হার। ঠিক কোন বিশেষণে এর ব্যাখ্যা করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রামিজ রাজা। কখনও বলছেন- ভয়ঙ্কর, আবার বলছেন, চূড়ান্ত আঘাত। কী বলছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আমেদাবাদে এতটা একপেশে ম্যাচ হবে, তা অবশ্য শুরুতে বোঝা যায়নি। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। পাকিস্তান ২ উইকেটে ১৫৫ রান করে। সে সময় আলোচনা চলছিল, ভারতের সামনে কত রানের লক্ষ্য থাকতে পারে। ২৮০ থেকে ৩০০ ওঠা যেন সময়ের অপেক্ষা। ভারতীয় বোলাররা দুরন্ত কামব্যাক করেন। ১৫৫-২ থেকে ১৯১ রানেই অলআউট করে পাকিস্তানকে। শেষ আট উইকেটে মাত্র ৩৬ রান। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ১৯৯২ সালে বিশ্বজয়ী পাকিস্তান টিমের সদস্য রামিজ রাজা বলছেন, ‘শুধু আঘাত পাওয়াই নয়, এটা ভয়ঙ্কর। সব বিভাগেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এই হারকে কী ভাবে বর্ণনা করা যায়, আমারও জানা নেই।’
হারের চেয়েও রামিজ রাজার কাছে সবচেয়ে অস্বস্তির প্লেয়ারদের তাগিদ। এ যেন অসহায় আত্মসমর্পণ। আইসিসি রিভিউ পডকাস্টে আরও বলেন, ‘জিততে পারোনি মেনে নিলাম। অন্তত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও খুশি হতাম। পাকিস্তান সেটাও করতে পারেনি। এটা চলতে দেওয়া যায় না। বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর কোনও না কোনও রাস্তা খুঁজে নিতেই হবে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গায়ে যেন চোকার্স তকমা না লেগে যায়। আমার মনে হয়, পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। সেটাকে কাটানোর জন্যও দক্ষতা প্রয়োজন।’
পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার অবশ্য হারের অজুহাত হিসেবে তুলে ধরেছেন গ্যালারিকেও। তেমনই তাঁর হুঁশিয়ারি, ভারতকে ফাইনালে দেখে নেবেন! বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চেই ৮-০ পরিসংখ্যান বদলানোর দাবি পাক কোচের মুখে।