ICC World Cup: সৌরভের ভরসার ক্যাপ্টেন, দাদার আক্ষেপ মেটানো লক্ষ্য রোহিতের!

ICC world cup 2023, India WC FINAL: ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক, ক্রিকেট প্রশাসক। সৌরভের জীবনের একটা আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে। ফাইনালে পৌঁছেও বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে পারেননি। রোহিতের এই টিমে তেমনই বোলিং আক্রমণ রয়েছে। ভারতীয় ব্যাটিং বরাবরই যে কোনও টিমের ঈর্ষার কারণ। সৌরভের সময়ে সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিংরা ছিলেন। রোহিতের রয়েছে বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শুভমন গিল, শ্রেয়স আইয়াররা। আর এমন বিধ্বংসী বোলিং লাইন আপ।

ICC World Cup: সৌরভের ভরসার ক্যাপ্টেন, দাদার আক্ষেপ মেটানো লক্ষ্য রোহিতের!
Image Credit source: X

| Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Nov 16, 2023 | 2:48 AM

 

অভিষেক সেনগুপ্ত

মুম্বই: বিরাট-রোহিতরা মুম্বই পৌঁছনোর পর থেকে আলোচনায় শুধুই ক্রিকেট। দীপাবলির ছুটি থেকে ক্রিকেটে ফিরছিল মুম্বই। ওয়াংখেড়ের গ্যালারি যে কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক! শুরু থেকে ম্যাচ কমপ্লিট হওয়ার পরও যেন স্টেডিয়াম ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না কারও। চোখের সামনে কী যেন ঘটে গেল। নিজেকে চিমটি কেটে দেখতে হয়। ম্যাঞ্চেস্টারের বদলা মুম্বইতে। কাজ এখনও শেষ হয়নি যদিও।

এক যুগ পর ভারত আবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে। উহু, শুধু ভারত না লিখে বরং রোহিতের অপরাজিত ভারত লেখা উচিত। যে টিমটা স্বপ্ন দেখাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। রোহিতের নেতৃত্বে ফেভারিটের মতোই খেলছে। আইপিএলে অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন রোহিত। কিন্তু দেশের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়া যে পুরোপুরি ভিন্ন! অনেকের মধ্যে সংশয় থাকলেও ভরসা রেখেছিলেন সেই মানুষটা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ক্রিকেটার চেনার ক্ষেত্রে সৌরভের মুন্সিয়ানা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের উদাহরণই না হয় দেওয়া যাক! মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কেরিয়ারের শুরুতে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দেওয়া। ভারতীয় ক্রিকেটে এটাও কি টার্নিং পয়েন্ট নয়? সেই ধোনিই কিন্তু সৌরভের ছায়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি, ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব এসেছে তাঁর হাত ধরে। কিংবা এই দুটো বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়ার যুবরাজ সিং? তিনিও তো দাদার নেতৃত্বেই তৈরি। বীরেন্দ্র সেওয়াগ, হরভজন সিং! কিংবা জাহির খান? এক যুগ আগের বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে যাঁরা ধোনির টিমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

ক্যাপ্টেন থাকাকালীনই শুধু যে এই দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করেছিলেন, তা নয়। রাহুল দ্রাবিড় চাননি সিনিয়র দলের কোচ হতে। বারবার তিনি বলে আসছিলেন, যুব ক্রিকেটারদের নিয়েই খুশি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং যুব দলের দায়িত্বে থেকে নতুন প্লেয়ার তুলে আনার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁকে সিনিয়র দলের কোচ করতে কম ঝক্কি পেরোতে হয়নি সৌরভকে। প্রাক্তন সতীর্থ এবং বন্ধু রাহুল দ্রাবিড়কে কিন্তু সিনিয়র দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাজি করিয়েছিলেন। ক-জন ভরসা করেছিলেন দ্রাবিড়ের ওপর! এই প্রশ্ন থাকেই।

বিরাট কোহলির পর ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব কার হাতে যাবে! ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থাকাকালীন রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ এবং রোহিতকে অধিনায়ক করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা সৌরভেরই। রোহিতকে নেতৃত্ব দিলে ভারতীয় ক্রিকেটে সাফল্য আসবে, এই ভরসা ছিল মহারাজের। এখনও অবধি তাঁর ভরসার মর্যাদা দিয়েছেন রোহিত। লিগ পর্বে সব ম্যাচ জিতে ক্যাপ্টেন রোহিত ভেঙেছিলেন দাদার রেকর্ড। এক বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে বেশি জয় ২০০৩ সালে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সে বার রানার্স হয়েছিল ভারত। আট ম্যাচ জিতেছিল সৌরভের টিম ইন্ডিয়া। তেইশের বিশ্বকাপে রোহিতের টিম দশ ম্যাচ জিতেছে!

ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক, ক্রিকেট প্রশাসক। সৌরভের জীবনের একটা আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে। ফাইনালে পৌঁছেও বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে পারেননি। রোহিতের এই টিমে তেমনই বোলিং আক্রমণ রয়েছে। ভারতীয় ব্যাটিং বরাবরই যে কোনও টিমের ঈর্ষার কারণ। সৌরভের সময়ে সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিংরা ছিলেন। রোহিতের রয়েছে বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শুভমন গিল, শ্রেয়স আইয়াররা। আর এমন বিধ্বংসী বোলিং লাইন আপ।

দাদার আক্ষেপ মেটাতে আর একটা ম্যাচ জিততে হবে। আচ্ছা, দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জিতে যদি ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া? আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে ট্রফি ওঠে রোহিতের হাতে? নিজের বেছে দেওয়া ক্যাপ্টেন-কোচের সৌজন্যে দাদার আক্ষেপ মিটতেই পারে। সে বার তো ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াই ছিল!