IND vs AUS: সামি বনাম শার্দূল; একাদশ নিয়ে কি অযথাই পরীক্ষা?

Mohammed Shami vs Shardul Thakur: মোহালিতে প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তনেই পাঁচ উইকেট নিয়ে সামি যেন সেই বার্তাই দিয়েছেন। টিমে হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার থাকলে, শার্দূলকে প্রয়োজন পড়ে না। এর পরিবর্তে বুমরা-সিরাজ-সামি এই পেস ত্রয়ী খেললে যে কোনও প্রতিপক্ষকেই চাপে রাখা সম্ভব। মোহালি ম্যাচে সামি আরও একটা বিষয় পরিষ্কার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু নতুন বলের বোলার নন।

IND vs AUS: সামি বনাম শার্দূল; একাদশ নিয়ে কি অযথাই পরীক্ষা?
Image Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2023 | 3:44 AM

ইন্দোর: ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। টিম ইন্ডিয়ার ওপর প্রত্যাশাও অনেক। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপের ঠিক আগের মুহূর্তে অতিরিক্ত পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে না তো? প্রশ্নটা ওঠার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছ। গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ বিষয়ই ধরা যাক। ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর পজিশন নিয়ে অনেক পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ অবধি সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও পরীক্ষার এই বিষয় ছিল। এক বছর ধরে নানা প্লেয়ারকে নেওয়া হয়েছে, বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই বিদায়। এ বারও বিশ্বকাপের আগে পরিস্থিতি যেন তেমনই। মহম্মদ সামি বনাম শার্দূলও কি অযথাই হচ্ছে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল ভারত। ওয়ান ডে সিরিজেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল সামিকে। এশিয়া কাপে স্কোয়াডে ফেরেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি সামিকে। নেপাল ম্যাচে বুমরার অনুপস্থিতিতে সামি একাদশে সরাসরি জায়গা পান। সুপার ফোরে বুমরা ফিরতেই সামি ফের বেঞ্চে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু-ম্যাচে অনেকেই বিশ্রামে। মোহালিতে একাদশে প্রত্যাবর্তন হয় সামির।

মজার বিষয়, সামিকে বেঞ্চে রাখা হচ্ছিল শার্দূল ঠাকুরকে খেলানোর জন্য। কারণ, ব্যাটিং গভীরতা। শার্দূল ঠাকুরের বোলিং প্রতি ম্যাচেই ভরসা দেবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। সেটা কারও ক্ষেত্রেই থাকে না। কোনও একদিন এক বোলারের খারাপ পরিস্থিতি হতেই পারে। পেস বোলিংয়ের বিষয়টিই যদি ধরা যায়, কোনও এক দিন বুমরা ব্যর্থ হলেন, সিরাজ এক দিক সামলে দিলেন, সে সময় সামি তুরুপেস তাস হয়ে উঠতে পারেন নাকি শার্দূল ঠাকুর? উত্তর হতে পারে, দু-জনের যে কেউ। কিন্তু ভরসা বেশি থাকবে সামির দিকেই।

মোহালিতে প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তনেই পাঁচ উইকেট নিয়ে সামি যেন সেই বার্তাই দিয়েছেন। টিমে হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার থাকলে, শার্দূলকে প্রয়োজন পড়ে না। এর পরিবর্তে বুমরা-সিরাজ-সামি এই পেস ত্রয়ী খেললে যে কোনও প্রতিপক্ষকেই চাপে রাখা সম্ভব। মোহালি ম্যাচে সামি আরও একটা বিষয় পরিষ্কার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু নতুন বলের বোলার নন। শুরুতে যেমন উইকেট নিয়েছেন, তেমনই মিডল এবং স্লগ ওভারেও। বিশ্বকাপের আগে সামি-বুমরা-সিরাজকে একাদশে একসঙ্গে খেলিয়ে প্রস্তুত করলেই হয়তো টিম ইন্ডিয়া বেশি লাভবান হবে। ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে গিয়ে বোলিংয়ে আপোস করা, মনে হয় না যথাযথ।