আমেদাবাদ: রুদ্ধশ্বাস একটা ম্য়াচের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু ম্য়াচ নিষ্ফলাই থাকল। প্রথম তিন ম্য়াচের ভিন্ন রূপ আমেদাবাদে। নাগপুর ও দিল্লি টেস্টে জিতেছিল ভারত। ইন্দোর টেস্টে জেতে অস্ট্রেলিয়া। গত ম্যাচগুলি তিন দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়। স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করা নিয়ে ব্য়াপক বিতর্ক হয়। বিশেষ করে ইন্দোর ম্য়াচে বেশি বিতর্ক হয়েছে। ম্য়াচ তিন দিনেই শুধু শেষ হওয়া নয়, আইসিসি ইন্দোরের পিচকে খারাপ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ণায়ক ম্য়াচ ছিল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করার। ভারতের লক্ষ্য ছিল ম্য়াচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করা। কিন্তু ভারতের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় শেষ দিন বিনোদনের ম্য়াচ দেখা গেল। আমেদাবাদ টেস্টের পঞ্চম দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
উসমান খোয়াজার চোট থাকায় নাইট-ওয়াচম্য়ানকে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করায় অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেডের সঙ্গে দিনের খেলা শুরু করেন নাইট-ওয়াচম্য়ান ম্য়াট কুনেম্যান। অশ্বিনের বোলিংয়ে লেগ বিফোর হন তিনি। রিভিউ নেননি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, বল উইকেট মিস করছিল। নাইট-ওয়াচম্য়ানের জন্য় রিভিউ নষ্ট করেনি অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মার্নাস লাবুশেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে ৮৮ রানে পিছিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। হেড-লাবুশেনের অনবদ্য জুটিতে লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ক্রমশ শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। ৯০ রানে তাঁকে বোল্ড করেন অক্ষর প্য়াটেল। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০ উইকেটের মাইলফলকে অক্ষর।
ভারতের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন স্টিভ স্মিথ। লাবুশেনের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় ক্রিজে কাটান। দু-দলের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ক্রমশ প্রাণ হারায় ম্য়াচ। ম্য়াচ ড্র হওয়ার দিকেই যাচ্ছিল। তবে অনেকটা সময় তখনও বাকি। রোহিত শর্মা বোলিংয়ে ডাকেন শুভমন গিলকে। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর বোলিং অভিষেক। পরের ওভারে চেতেশ্বর পূজারা। শুভমন গিল নিজের দ্বিতীয় ওভারে এক বল করতেই স্টিভ স্মিথ-রোহিত শর্মা হাত মিলিয়ে নেন।