আমেদাবাদ: বিরাটের ব্যাট জ্বলে উঠলে, বাকিরা শুধুই দর্শক। শতরান এখনও হয়নি। তবে তাঁর ধৈর্য আরও ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্য়াটার এবং ভবিষ্যৎ। দু-জনের থেকেই অনবদ্য ইনিংস এল। প্রথম জন নিঃসন্দেহে বিরাট কোহলি, দ্বিতীয় জন শুভমন গিল। ভবিষ্যৎ তারকার শতরানে যখন বিরাট কোহলি হাসি মুখে হাততালি দেন সেই দৃশ্য বন্দী করে রাখার মতোই। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রান করে ভারতকে চাপে রেখেছিল। শুভমন-বিরাট পাল্টা চাপে রাখলেন অজিদের। প্রথম সেশনে ভালো খেলছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ওপেনিং জুটি। রোহিত লুজ শটে ৩৫ রানে ফেরেন। সেই অস্বস্তি কাটতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বরং দিনের শেষে ভারতীয় শিবিরে এক রাশ স্বস্তি। আমেদাবাদ টেস্টের তৃতীয় দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
দিনের খেলার ৭০ শতাংশ সময়ের নায়ক যদি শুভমন গিল হন, বাকি ৩০ শতাংশ নিঃসন্দেহে বিরাট কোহলির। প্রথম সেশনে একমাত্র রোহিতের উইকেট হারিয়ে ৯৩ স্কোরে পৌঁছায় ভারত। শুভমন গিল-চেতেশ্বর পূজারা জুটি দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সমস্যায় পড়েন। রিভার্স সুইং হচ্ছিল। মিচেল স্টার্ক-ক্যামেরন গ্রিন কিছুটা অস্বস্তিতে রাখেন। দু-দিক থেকে স্পিনার এনেও চাপে রাখার চেষ্টা করেন স্টিভ স্মিথ। শুভমনের ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনা কাজে দেয়নি। চেতেশ্বর পূজারা ভালো খেলছিলেন। কিন্তু অফ স্পিনার টড মার্ফি রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিংয়ে চাপে ফেলেন। মার্ফির বলেই লেগ বিফোর হন ৪২ রানে।
ভারতীয় ইনিংসে প্রাণ ফেরান শুভমন গিল, বিরাট কোহলি। তাদের রানিং বিটউইন দ্য উইকেট খুবই ভালো। শুভমন গিল শতরানের পর প্রচণ্ড গরমে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন। পায়ে টান ধরে। বিরাটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু নাথান লিয়ঁর একটি ডেলিভারিতে পরাস্থ হন। অফস্টাম্পের বাইরে থেকে শার্প টার্ন। পায়ে টান ধরায় মনসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। লেগ বিফোর হন শুভমনও। ১২৮ রানের ঝঁকঝকে ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। গ্য়ালারি দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানায়।
বিরাট কোহলির সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রবীন্দ্র জাডেজা। ডান ও বাঁ হাতি কম্বিনেশনের জন্যই জাডেজাকে ব্য়াটিং অর্ডারে আগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত। দিনের শেষে তা কাজে দিয়েছে। বিরাট কোহলি ব্যক্তিগত ৪২ রানে পৌঁছতেই ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে ৪ হাজারের মাইলফলকে। এখানেই থেমে থাকেননি। টেস্ট কেরিয়ারের ২৯তম অর্ধশতরান করেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া অপেক্ষা করে। অবশেষে ৯৪ ওভারের দ্বিতীয় নতুন বল নেয়। তাতেও মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেনি কোহলি-জাডেজা জুটির। দিনের শেষে ৪৪ রানে জুটি অবিচ্ছিন্ন। ভারত মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলেছে। এখনও পিছিয়ে ১৯১ রানে।