আমেদাবাদ : একটা শতরান, অনেক উচ্ছ্বাসের মুহূর্ত। টেস্ট কেরিয়ারে দ্বিতীয় শতরান হাঁকিয়েছেন শুভমন গিল। এমন একটা সময়ে সেঞ্চুরি, শুধু টিমের জন্যই নয়, ব্যক্তিগত ভাবেও জরুরি ছিল। বাংলাদেশ সফরে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন শুভমন গিল। সেটিই ছিল কেরিয়ারের প্রথম শতরান। যদিও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম দু-ম্য়াচে একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। অধিনায়ক রোহিত শর্মা টিমে ফিরেছিলেন। অন্য় দিকে, সিনিয়র ওপেনার তথা ভাইস ক্য়াপ্টেন লোকেশ রাহুলও রয়েছেন। টানা ব্য়র্থতা সত্ত্বেও রাহুলকে খেলিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নাগপুর ও দিল্লি টেস্টে ব্য়র্থতার পর ঘরে বাইরে প্রবল চাপে রাহুলকে বসাতে বাধ্য হয় টিম ম্য়ানেজমেন্ট। ইন্দোর টেস্টে শুভমন গিলও ব্য়র্থ হন। ম্য়াচ হারায় চাপ আরও বাড়ে। আমেদাবাদে শতরান করে দলকে ভালো জায়গায় রাখার পাশাপাশি চাপ কমালেন শুভমন। দিনের খেলার শেষে কী বললেন শুভমন গিল? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
কেরিয়ারের দ্বিতীয় হলেও দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট শতরান শুভমনের। শুধু তাই নয়, এ বছর তিন ফরম্য়াটেই শতরান হল তাঁর। দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ওপেনার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান। উচ্ছ্বসিত শুভমন গিল বলেন, ‘দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট শতরান। দুর্দান্ত অনুভূতি।’ বোর্ডে ৪৮০ রানের বোঝা। বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালও নির্ভর করছে এই ম্যাচের উপর। ভারতের একটা ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল। এ দিন প্রথম সেশনে রোহিত শর্মার আউটে সেই পরিকল্পনায় কিছুটা ধাক্কা লাগে। তবে পূজারা, কোহলির সঙ্গে শুভমনের জুটি ম্যাচের রং বদলে দেয়। আমেদাবাদের পিচে শট খেলা সহজ হয়নি। শুভমনের কথায়, ‘এরকম পিচে ধারাবাহিক রান করা কঠিন। সে কারণেই ক্রিজে টিকে থেকে খুচরো রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। বোলারদের জন্য খুব বেশি সাহায্য ছিল না। অজিরা ৪৮০ রান করেছে। পূজারার সঙ্গে এটাই আলোচনা হচ্ছিল, আমরাও বড় রান করে, ওদের চাপে ফেলতে পারি। মাঝে বাউন্ডারি আসছিল না। সে সময় ধৈর্য রাখাটাই জরুরি ছিল। সেটাই চেষ্টা করেছি।’
দিন শেষে ভারতের তরুণ ওপেনারের নামের পাশে ১২৮ রানের অনবদ্য একটা ইনিংস। সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজও রয়েছে। এরপর আইপিএল। শুভমন গিলের কাছে আইপিএলের ঘরের মাঠ আমেদাবাদ। দেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট শতরান তাঁর ‘ঘরের’ মাঠে পাওয়ায় বাড়তি উচ্ছ্বাস। শুভমন বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি এই মাঠেই আমাদের আইপিএল অভিযান শুরু করব। দারুণ একটা স্মৃতি সঙ্গী করেই আইপিএলে নামতে পারব। আইপিএলে এটা আমার ঘরের মাঠ। এখানে রান পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।’ পিচ থেকে বোলারদের বিশেষ সুবিধা না থাকলেও বেশ কিছু ডেলিভারি শার্প টার্ন নিয়েছে। শুভমনও আউট হয়েছেন এমনই একটা ডেলিভারিতে। পিচের ক্ষত থেকেই কিছু ডেলিভারি সমস্য়া তৈরি করেছে বলেও জানান শুভমন।