
বেঙ্গালুরু: পছন্দ ছিল নতুন বলে খেলার। একটু সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার। কিন্তু তাঁর খেলার ধরন দেখে অন্যরকম ভাবনা ছিল কোচের। ওপেনার থেকে বানিয়ে দেন মিডল অর্ডার ব্যাটার। পুরো পরিস্থিতিই পাল্টে যায়। তারপর আর ক্রিজে নেমে সেট হওয়ার সুযোগ হত না। প্রথম বল থেকেই শট খেলো। মন খারাপ হয়নি। বরং এই সিদ্ধান্তটাই তাঁর কেরিয়ার বদলে দিয়েছে, অবলীলায় একথা স্বীকার করে নিতে পারছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নজর কেড়েছেন। এরপর জাতীয় দলে সুযোগ। কোনও কুইজের ভূমিকা নয়, ভারতীয় দলের তরুণ কিপার ব্য়াটার জীতেশ শর্মার কেরিয়ারের সারাংশ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন অনেক আগেই। তবে সেটা ভারতের দ্বিতীয় সারির দলই বলা যায়। আয়ার্ল্যান্ড সফরে প্রথম সুযোগ। এশিয়ান গেমসেও। নীল জার্সিতে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন জীতেশ। জাতীয় দলে সুযোগ মিলতেই হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের বার্তা পেয়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে জীতেশ জানিয়েছিলেন, দ্রাবিড় স্যার তাঁকে স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যেতে বলেছেন। ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর মতো ফিনিশার চাই।
এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলে অভিষেক হয় জীতেশের। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী দলের সদস্য। কিন্তু তাঁর কাছে সেরা সুযোগ ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই। রায়পুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ঈশান কিষাণের পরিবর্তে খেলানো হয় জীতেশকে। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামেন। উল্টোদিকে রিঙ্কু সিং, আর এক দিকে জীতেশ। দু-জনেই পরিচিত ফিনিশার হিসেবে। রিঙ্কু কিছুটা সময় নেন। জীতেশ অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। এটাই তো তাঁকে শেখানো হয়েছে!
জীতেশের মুখেই উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলছিলেন, ‘আমি ওপেনার ছিলাম। কোচ প্রীতম গান্ধে বলেছিলেন পরের দিকে ব্যাট করতে। সেই সিদ্ধান্তটা গুরুত্ব দিয়েছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়েছি। আর দেখুন, এখন দেশের হয়েও খেলছি। সমস্ত কৃতিত্ব কোচকে। তিনি আমার জন্য এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন।’