IND vs AUS, 2nd ODI: ১০ উইকেটে হারের লজ্জা, ব্যাটে-বলে ভারতকে উড়িয়ে সমতায় অজিরা

ব্যাটে-বলে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে হাসতে হাসতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতল স্টিভ স্মিথের দল। প্রথমে মিচেল স্টার্ক, শন অ্যাবটরা ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন। এরপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব মিচেল মার্শ, ট্রাভিস হেডের।

IND vs AUS, 2nd ODI: ১০ উইকেটে হারের লজ্জা, ব্যাটে-বলে ভারতকে উড়িয়ে সমতায় অজিরা
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2023 | 5:59 PM

বিশাখাপত্তনম: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনমের দ্বিতীয় ওডিআই (India vs Australia) ম্যাচটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুলে যেতে চাইবেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে দলে ফেরেন রোহিত। ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে শার্দূল ঠাকুরকে বসিয়ে অক্ষর প্যাটেলকে একাদশে রাখা হয়। তাতে কোনও লাভ হল না। ব্যাটে-বলে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে হাসতে হাসতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতল স্টিভ স্মিথের দল। প্রথমে মিচেল স্টার্ক, শন অ্যাবটরা ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন। এরপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব মিচেল মার্শ, ট্রাভিস হেডের। দুই অজি ওপেনারের অর্ধশতরানের ইনিংসে ১১৮ রানের লক্ষ্য মাত্র ১১ ওভারেই পার করে ফেলেছে অজিরা। বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় দল প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিল। কামব্যাক করা হল না রোহিত শর্মার দলের। লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ১০ উইকেটে হারানোর লজ্জা দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।  অর্থাৎ, তৃতীয় ম্যাচটাই হবে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ। সিরিজ এখন ১-১ ব্যবধানে। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

ওডিআই ফরম্যাটে ভারতকে এই দু’বার ১০ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। রবিবারের ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে মাত্র ৩৭ ওভারে। টি-২০ ম্যাচের গতিতে এগিয়েছে ম্যাচ। ভারতকে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। এরপর দুই ওপেনার মিচেল মার্শ (৬৬*) ও ট্রাভিস হেড (৫১*)-এর ব্যাটে ১১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে খেলা হল ৩৭ ওভারের। বাকি রইল ২৩৪ বল। বলের হিসেব ধরলে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার এটাই সবচেয়ে বড় জয়। ম্যাচের আগে ধারাভাষ্যকার বলছিলেন, ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের দাবিদার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ফুল মার্কস আদায় করে নিল ক্যাঙারুদের দল।

বিশাখাপত্তনমে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত সফল বলে প্রমাণিত করে দিলেন স্টার্ক, অ্যাবটরা। ভারতের ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে স্টার্ক আছড়ে পড়েছিলেন ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার শুভমন গিলকে (০) ফেরান স্টার্ক। এরপর রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবকে পরপর দুই বলে প্যাভিলিয়নে ফেরান। স্টার্কের পরের শিকার প্রথম ওডিআই ম্যাচে উইনিং হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো লোকেশ রাহুল। ম্যাচের আগে বিশাখাপত্তনমে বৃষ্টি হয়েছিল। এই আবহাওয়ার ফায়দা কীভাবে তুলতে হয় তা খুব ভালোভাবেই জানতেন স্মিথ। প্রথম ওভারেই বল তুলে দেন মিচেল স্টার্কের হাতে। বাঁ হাতি পেসারের বলে মার্নাস লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শুভমন গিল। গিল খাতা না খুললেও তাঁর উইকেট নিয়ে খাতা খোলেন স্টার্ক। ম্যাচের একেবারে শেষে তাঁর ঝুলিতে যাওয়া পঞ্চম উইকেটটি ছিল মহম্মদ সিরাজের। শুরুটা করেছিলেন স্টার্ক। সিনিয়র পেসারের দেখানো পথ অনুসরণ করেন শন অ্যাবট, নাথান এলিসরা। ডান হাতি পেসার এলিসের বলে এলবিডব্লিউ হন বিরাট কোহলি (৩১)। রবীন্দ্র জাডেজার (১৬) উইকেটটিও গিয়েছে তাঁর ঝুলিতে। হার্দিক পান্ডিয়াকে ১ রানে ফেরানোর পর দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সামিকে আউট করে ভারতকে স্বল্প রানে গুটিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন অ্যাবট।