
বিশাখাপত্তনম: গত বারের আইপিএলও কেকেআর সমর্থকদের কাছে হতাশার। টিমের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। তবে বিনোদনের অভাব ছিল না। গত আইপিএলে শুধু কেকেআরই নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাপ্তি রিঙ্কু সিং। ফিনিশার হিসেবে ক্রমাগত নিজেকে তুলে ধরছেন। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে খাদের কিনারা থেকে নাইট রাইডার্সকে জিতিয়েছিলেন। তাঁর সেই ইনিংস আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় দলেও রয়েছেন রিঙ্কু সিং। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করেছে ভারত। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন রিঙ্কু। কিন্তু শেষ বলে তাঁর কিছুটা হলেও হতাশা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপের রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। বিশাখাপত্তনমে বিশাল রান তাড়া করে জিতল ভারত। নেতৃত্বে অভিষেক হল সূর্যকুমার যাদবের। ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই নজর কাড়লেন। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। হাই স্কোরিং ভেনু। তার ওপর ভারতের নিম্নমানের ফিল্ডিং চাপে ফেলে। জশ ইংলিশের সেঞ্চুরি এবং স্টিভ স্মিথের হাফসেঞ্চুরিতে ভারতকে ২০৯ রানের টার্গেট দেয় অজিরা।
রান তাড়ায় অল্প সময়ের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। তিনে নামা ঈশান কিষাণ ও চারে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব পরিস্থিতি সামাল দেন। ঈশান হাফসেঞ্চুরি করে ফেরেন। সূর্যকুমার যাদব ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। পরপর উইকেট হারিয়ে শেষ দিকে চাপে পড়ে ভারত। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে অক্ষর আউট হতেই চাপ বাড়ে। ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। যদিও স্ট্রাইকে ছিলেন না রিঙ্কু সিং। তাঁকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রান আউট হন রবি বিষ্ণোই।
Rinku Singh bringing back our smiles! 😁💙pic.twitter.com/I7C0WTDTDU
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) November 23, 2023
ম্যাচ টাই। শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১ রান। স্ট্রাইকে রিঙ্কু সিং। এমন পরিস্থিতি অনেক সামলেছেন রিঙ্কু। তাঁকে কোনও চাপেই দেখায়নি। সার্কেলে ফিল্ডার বাড়িয়ে সিঙ্গল আটকানোর চেষ্টা করেন অজি অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড। যদিও বিশাল ছক্কা হাঁকান রিঙ্কু সিং। এরপরই অবাক হওয়ার পালা। নো-বলের সাইরেন বেজে ওঠে। রিঙ্কু ছয় মারলেও সেটি স্কোর বোর্ডে যোগ হবে না। কারণ, ভারতের প্রয়োজন ছিল ১ রান। নো বলেই সেই টার্গেট পূরণ হয়ে যায়। রিঙ্কু ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। নো বল হওয়ায় ১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে ভারত। সেটি নো বল না হলে, শেষ বলে ৬-এর সৌজন্যেই জিতত ভারত। রিঙ্কুর স্কোর হত ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান।