কোন লাইন, কোন লেন্থ, কেমন ফিল্ডিং প্রয়োজন। কোনও প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাওয়া যায় না এভাবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও পাচ্ছিলেন না। পুরোপুরি দিশেহারা অবস্থা। ইনিংসের শুরুতে অভিষেক শর্মার উইকেট নিয়ে কয়েক সেকেন্ডের স্বস্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর শুধুই তাণ্ডব। বাংলাদেশ বোলাররা একবারই স্বস্তির শ্বাস নিতে পেরেছিলেন। স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট সমস্যায় মিনিট পাঁচেক খেলা বন্ধ থাকে। ওই সময়টুকু বাদ দিলে শুধুই আতঙ্ক। তার মধ্যে রান আউটের একটা সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরেও ছয়! নো-বল। কোনও কিছুই বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। কাঁধ ঝুঁকে গিয়েছে প্রথম ইনিংসেই। তাদের সামনে এ বার টার্গেট ২৯৮ রান!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের সর্বাধিক স্কোর ছিল ২৬০-৫। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ইন্দোরে এই স্কোর করেছিল ভারত। তা ছাপিয়ে যায় ১৭.৫ ওভারেই। ৩০০-র টার্গেট ছিল ভারতের। তা যেন সময়ের অপেক্ষা। সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরি, সূর্যকুমার যাদবের ৩৫ বলে ৭৫। যেই ক্রিজে আসছেন তান্ডব চালাচ্ছেন। গত দু-ম্যাচে ব্যাটিংয়ে সেই অর্থে সুযোগই পাননি রিয়ান পরাগ। এ দিন তাঁকে চারে নামানো হয়। ১৩ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও খেলেন রিয়ান।
ক্রিজে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দেন রিঙ্কু সিং। ৩০০ ছুঁতে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। রিঙ্কু সিং প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে সেট ব্যাটার হার্দিককে স্ট্রাইক দেন। ছয় মেরে টিমকে টার্গেটের আরও কাছে পৌঁছে দেন। তবে পরের বলে সেই বাউন্ডারি লাইনেই ক্যাচে ফেরেন হার্দিক। হেলিকপ্টার শট খেলেছিলেন। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ৪৭ রানে ফেরেন হার্দিক।
শেষ ৩ বলে ১১ প্রয়োজন ছিল ভারতের। লোকাল বয় নীতীশও ছয় মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ক্যাচ। সে সময় ৩০০-র টার্গেট নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ওয়াশিংটন সুন্দর নেমে বড় শটের চেষ্টা করলেও সিঙ্গল আসে। রিঙ্কু স্ট্রাইকে আসতেই ওয়াইড বল। শেষ ডেলিভারিতে ছয় মারেন। ২৯৭-৬ স্কোরে থামে ভারতের ইনিংস। টেস্ট খেলা দেশের মধ্যে এটিই সর্বাধিক স্কোর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানের শিখরে রয়েছে নেপাল। তারা মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১৪ রান করেছিল। ভারত দ্বিতীয় স্থানে।