
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে খাদের কিনারায় ভারত। প্রথম ইনিংসে লোয়ার অর্ডার ব্যর্থতা, ঋষভ পন্থের গুরুতর চোট। জবাবে ইংল্যান্ডের বাজ়বল। অস্বস্তি ছিলই। তা আরও বাড়ল। ভারত প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৫৮ রান। জবাবে ওপেনিং জুটিতেই ১৬৬ রান তুলেছিল ইংল্য়ান্ড। তৃতীয় দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪৪ রান তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে ১৮৬ রানের লিড। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন। বরং, লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের পরিস্থিতি মনে রাখলে, ইনিংস হারের ভ্রুকুটিও দেখা যাচ্ছে ভারতীয় শিবিরে।
দ্বিতীয় দিন শেষ দিকে দুটো উইকেট নিয়ে সাময়িক স্বস্তিতে পেয়েছিল ভারত। যদিও ক্রিজে জো রুট ও ওলি পোপ থাকায় আশঙ্কা ছিলই। সেটাই দেখা গেল তৃতীয় দিন। কেরিয়ারের ৩৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি জো রুটের। শেষ অবধি ১৫০ রানে ফেরেন তিনি। তার আগে ইংল্যান্ড শিবির কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে ক্যাপ্টেন বেন স্টোকসের চোটে। খোঁড়াচ্ছিলেন স্টোকস। ৭৭ রানে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন। কিপার ব্যাটার জেমি স্মিথ মাত্র ৯ রানে ফেরেন। ক্রিস ওকসকেও তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। তা হলে কেন ইনিংস হারের ভ্রুকুটি?
বেন স্টোকস এখনও আউট হননি। চোট খুব একটা গুরুতর মনে হয়নি। একটা রাতের বিশ্রামে সেরে উঠবেন, এমনই মনে করা হচ্ছে। ক্রিজে এখনও রয়েছেন লিয়াম ডসন। তাঁর ব্যাটের হাত খুবই ভালো। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১০ হাজারের উপর রান করেছেন। ১৮টি সেঞ্চুরি এবং ৫৬টি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। সুতরাং, তাঁকে শুধুমাত্র বোলার বলা যায় না। লিয়াম ডসন ২১ রানে ক্রিজে রয়েছেন।
বেন স্টোকসের সঙ্গে তাঁর জুটি জমে গেলে ভারতীয় শিবিরে চাপ বাড়বে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। লিড ২৫০ পেরিয়ে গেলে ইনিংস হারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারত কত তাড়াতাড়ি অলআউট করতে পারে, এখন সেটাই দেখার।