
লর্ডস টেস্ট রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে। এখনও অবধি বলা যায় ভারত এগিয়ে। এই টেস্ট জিতলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে যাবে ভারতীয় দল। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে যা বড়রকমের সাফল্য। আর ভারতকে অ্যাডভান্টেজ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বোলাররাই। যে কোনও টেস্ট জিততে সবার আগে জরুরি প্রতিপক্ষের ২০টা উইকেট নেওয়া। সেটাই করে দেখিয়েছে ভারতের বোলিং আক্রমণ। প্রথম ইনিংসে ফাইফার নিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। বাকিরা দুর্দান্ত সহযোগিতা করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৯২ রানেই অলআউট করে ভারত। অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর ৪ উইকেট নেন। তেমনই বুমরা-সিরাজ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু এরপরই সমস্যা। জরিমানা করা হল ভারতের পেসারকে। সঙ্গে ডিমেরিট পয়েন্টও।
বর্তমান ভারতীয় টেস্ট দলে বিরাট কোহলির মতো আগ্রাসন কার রয়েছে? সকলে একবাক্যে হয়তো স্বীকার করে নেবেন মহম্মদ সিরাজের কথা। ধারাভাষ্য়কাররাও বারবার তাঁর কথা বলেছেন। যত উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সিরিজে তা অবশ্য পাননি। তাঁর বোলিংয়ে প্রচুর ক্যাচ ফসকেছে। লর্ডসের দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন সিরাজ। ইংল্য়ান্ড ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলির সঙ্গে তৃতীয় দিনের শেষেই ঝামেলা শুরু হয়। সময় নষ্ট করছিলেন তাঁরা। চতুর্থ দিন ডাকেটের উইকেট নিয়ে চোখ রাঙানো সেলিব্রেশন করেন সিরাজ। আর এতেই জরিমানা।
ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ সিরাজ হায়দরাবাদ পুলিশে ডিএসপি ব়্যাঙ্কের অফিসারও। তাঁকে নিয়ে নানা মজাও করা হয়। ধারাভাষ্য়কাররাও অনেক সময় বলেন, ডিএসপির সঙ্গে ঝামেলায় না জড়াতে। ডাকেটকে আউট করে অতি আগ্রাসী হয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সেলিব্রেশনের সময় ডাকেটের সঙ্গে বডি কনট্যাক্টও হয়। যে কারণে ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে সিরাজের। সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্ট। ২৪ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্ট। ফলে সিরাজকে সতর্ক থাকতে হবে। আর ২ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তাঁকে এক টেস্টের নির্বাসনও দেওয়া হতে পারে।