Akash Deep: দু-মাসের ব্যবধানে বাবা-দাদার মৃত্যু, তিন বছর ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছাবসর, আকাশ দীপকে চেনেন?

India vs England 4th Test: ঘরোয়া ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম আকাশ দীপ। বাংলার হয়ে খেলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে নজর কেড়েছেন। বিরাট কোহলির মূল্যবান পরামর্শ মিলেছে। ভারত এ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সেখানে নজর কাড়তে অবশেষে টেস্ট অভিষেক। এই দিনটা আদৌ আসতো কি? 'তুঝে সব হ্যায়, পতা হ্যায় না মা...', তারে জমিন পর সিনেমার এই গানটা মনে পড়ে? মা যতটা কাছ থেকে চেনেন, আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

Akash Deep: দু-মাসের ব্যবধানে বাবা-দাদার মৃত্যু, তিন বছর ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছাবসর, আকাশ দীপকে চেনেন?
Image Credit source: BCCI
Follow Us:
| Updated on: Feb 23, 2024 | 11:41 AM

পরিস্থিতি অনেক সময়ই মানুষকে এমন জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়, যেখান থেকে ভাবার মতোও কিছু থাকে না। আকাশ দীপের কেরিয়ারও যেন তাই। গত কয়েক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম আকাশ দীপ। বাংলার হয়ে খেলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে নজর কেড়েছেন। বিরাট কোহলির মূল্যবান পরামর্শ মিলেছে। ভারত এ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সেখানে নজর কাড়তে অবশেষে টেস্ট অভিষেক। এই দিনটা আদৌ আসতো কি? তিন বছরের স্বেচ্ছাবসরের সময় হয়তো নিজেও জানতেন না। আকাশ দীপের এই দিকগুলো জানেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

‘তুঝে সব হ্যায়, পতা হ্যায় না মা…’, তারে জমিন পর সিনেমার এই গানটা মনে পড়ে? মা যতটা কাছ থেকে চেনেন, আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়। আকাশ দীপের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি তাই। ক্রিকেট আঁকড়ে বেড়ে ওঠার স্বপ্নে আচমকা বিরাট ধাক্কা লেগেছিল। দু-মাসের ব্য়বধানে বাবা-দাদার মৃত্যু, সব এলোমেলো করে দিয়েছিল। সেই তিনিই ইংল্যান্ড টপ অর্ডারকে এলোমেলো করে দেন। টেস্ট ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম স্পেলেই তিন উইকেট! তিন বছর ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার হতাশার পুরস্কার যেন এই তিন উইকেট।

মহেন্দ্র সিং ধোনির নামাঙ্কিত প্যাভিলিয়নের মাঠ। ধোনির শহর ‘অবধি’ পৌঁছনোর রাস্তা সহজ ছিল না আকাশ দীপের। বিহারের সাসারাম গ্রামের আকাশ। ক্রিকেটই প্যাশন। যদিও বাবার তা পছন্দ ছিল না। লাখো ক্রিকেটারের মাঝে যেন ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখতে পারছিলেন না। এমনটা হওয়া যেন অপ্রত্যাশিত নয়। সত্যিই তো! দেশে লাখো উঠতি ক্রিকেটার। সকলেই যে দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন, তা নয়।

বাবার সহযোগিতা না পেলেও ক্রিকেট ছাড়েননি। গ্রাম ছেড়ে দুর্গাপুরে চলে যান আকাশ দীপ। সেখানে একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। দূর সম্পর্কের একজন সহযোগিতা করেছিলেন। দুরন্ত গতিতে নজর কাড়ছিলেন। কিন্তু সব কিছু শুরুর আগেই মাথার উপর থেকে আকাশটাই যেন সরে গিয়েছিল। দীপ জ্বলবে কী ভাবে! স্ট্রোক হয়ে বাবার মৃত্য, দু-মাসের মধ্যে দাদারও মৃত্যু হয়। এখান থেকে কী করা যেতে পারে?

পরিবারের ক্রাইসিস মুহূর্তে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হয়েছিল। তিন বছর ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছাবসর। মায়ের মুখে খাবারও তো তুলে দিতে হবে। চাকরি করছিলেন, কিন্তু মন পড়েছিল ক্রিকেটে। তিন বছর পর ফের দুর্গাপুর এবং সেখান থেকে কলকাতা। তুতো ভাইদের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকা। বাংলা অনূর্ধ্ব ২৩ দলে সুযোগ। ২০১৯ সালে বাংলা অনূর্ধ্ব ২৩ দলে অভিষেক।

এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলা সিনিয়র দলে দ্রুতই সুযোগ করে নেন। ২০২২ সালের আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আর ২৩ ফেব্রুয়ারি আকাশ দীপের জীবন ও কেরিয়ারে রেড লেটার ডে। দেশের ৩১৩ তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক।