এই পরিবেশ তাঁর কাছে নতুন নয়। গত এক বছর কেরিয়ারে নানা পরিবর্তন দেখেছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। প্রথম অনেক কিছুই ঘটেছে এবং ঘটছে তাঁর জীবনে। গত আইপিএলের আগে শুধুমাত্র নেট বোলার হিসেবে সুযোগ পেতেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। এ বার চড়া দামে তাঁকে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিছুদিন আগে টেস্টের মূল স্কোয়াডে। এ বার মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দেশের হয়ে দুই ফরম্যাটে অভিষেক। মুকেশকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন এবং সতীর্থ। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পোর্ট অব স্পেনে টেস্ট অভিষেক হয় মুকেশ কুমারের। লাল বলের ক্রিকেটে ঘরোয়া মঞ্চে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছিলেন তিনি। বিভিন্ন জোনাল টুর্নামেন্ট এবং ভারত এ দলের হয়েও নজর কেড়েছিলেন। টেস্ট অভিষেকও টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার মর্যাদা দেন। এ বার ওয়ান ডে অভিষেকেও। নীল জার্সিতে কেরিয়ার শুরু করলেন মেডেন ওভারে। সব মিলিয়ে ৫ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট।
মুকেশকে নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলছেন, ‘মুকেশ দুর্দান্ত পারফর্ম করল। টেস্ট অভিষেকেও ও দেখিয়েছে গতি এবং লাইন লেন্থের ক্ষেত্রে কতটা ধারাবাহিক। নতুন বলে সুইং করাতে পারে। সাদা বলে ও কেমন পারফর্ম করে সেটাই দেখার ছিল। এই ম্যাচ থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বোলারদের পারফরম্যান্স। পরিস্থিতি যতই বোলারদের সাহায্য করুক, তাতেও বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। সেই কাজটা আমাদের বোলিং বিভাগ করে দেখিয়েছে।’
ম্যাচে সেরার পুরস্কার জেতা কুলদীপ যাদবও শুরুটা করলেন মুকেশকে দিয়েই। বলছেন, ‘সিরিজে আমাদের শুরুটা নিখুঁত হল। প্রথমত ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। অভিষেক ম্যাচেই অনবদ্য বোলিং মুকেশের। উইকেটও নিয়েছে। তেমনই হার্দিক-শার্দূলও দারুণ। শুরুটা ভালো হওয়ায় আমি ও জাডেজা এত ভালো বোলিং করতে পেরেছি।’