
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গত সফরে একটা ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তখনও ওয়ান ডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরির খাতা খোলা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করেছিলেন। যদিও বৃষ্টির কারণে ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ায় শুভমনের সেঞ্চুরির প্রত্যাশা সে বার পূরণ হয়নি। গত বছর থেকেই স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন তরুণ ওপেনার শুভমন গিল। ওয়ান ডে ক্রিকেটে এই ম্যাচের আগে চারটি সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। এর মধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরি। এ বারও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ান ডে ফরম্যাটে শতরানের সামনে থেকেই ফিরতে হল শুভমনকে। যদিও দল বিশাল স্কোর গড়ল। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ান ডে হয়েছে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে। প্রথম ম্যাচে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যাটাররা। পিচে স্পিনারদের জন্য দারুণ সুবিধা ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি একই মাঠে হলেও তুলনামূলক ভাবে পিচে ব্যাটারদের জন্য সুবিধা ছিল। গত দুই ম্যাচেই ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস আসেনি শুভমনের ব্যাটে। তৃতীয় ওডিআইতে নজর কাড়লেন। ব্যক্তিগত ৮৫ রানে ফিরলেন শুভমন।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ। সিরিজে হাফসেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করলেন ঈশান কিষাণ। শুভমনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুড়লেন ১৪৩ রান। স্টেপ আউট করতে গিয়ে আউট হন ঈশান (৭৭)। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় সুযোগ না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে সুযোগ পেলেন। যদিও কাজে লাগাতে পারলেন না। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওডিআইতে ফিরলেন ১৪ বলে ৮ রানে।
সিরিজে দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগালেন সঞ্জু স্যামসন। ৪১ বলে ৫১ রান করেন। তবে ভারতীয় ইনিংসকে ৩৫০-এর ঘরে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডয়া। সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন। শেষ দিকে বিধ্বংসী ব্যাটিং। ৫২ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫১ রান করল ভারত।