
সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে ভারত। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে একটা ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ হবে না তো! এমন সম্ভাবনাই বেশি ছিল। কিন্তু অভিষেক শর্মার সৌজন্যে দুর্দান্ত একটা মুহূর্ত তৈরি হল। আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। জিম্বাবোয়ে সফরে কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ বার কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। পুরো ইনিংস জুড়ে শুধুই অভিষেকের দাপট। একেক সময় মনে হয়েছে, ডাবল সেঞ্চুরিই না করে ফেলেন। অবশেষে ১৩৫ রানে আউট হন। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ২৪৮ রানের বিশাল টার্গেট দিল ভারত।
পুনে ম্যাচের মতো টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেন জস বাটলার। ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তাঁর জন্য যে অভিষেক ঝড় অপেক্ষা করছিল, তা আন্দাজ করতে পারেননি। ৭ ওভারের মধ্যেই একশো পেরিয়ে যায় ভারত। ৩০০-র সম্ভাবনা তৈরি হয়। সঞ্জু স্যামসন ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেছিলেন। সব মিলিয়ে প্রথম ওভারে করেন ১৬ রান। যদিও পরের ওভারেই আউট তিনি। ৭ বলে ১৬ রান করেন।
অভিষেকের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন তিলক ভার্মা। ১৫ বলে ২৪ রানে ফেরেন তিনিও। হোম গ্রাউন্ডে হতাশ করলেন ক্য়াপ্টেন স্কাই। শিবম দুবে মাত্র ১৩ বলে ৩০ রানের ক্যামিও। অভিষেক শর্মা একদিক আগলে রাখলেও মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্য়াটাররা তাঁর সঙ্গে বড় জুটি গড়তে পারেননি। শেষ অবধি ৯ উইকেটে ২৪৭ রান করে ভারত। এর মধ্যে ৫৪ বলে ১৩৫ অভিষেক শর্মার। ৭টি বাউন্ডারি এবং ১৩টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।